পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আরেক সহপাঠীর আত্মহত্যার চেষ্টা
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর একটি ফ্ল্যাট থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ভারতীয় আরেক শিক্ষার্থীকে।
তিনি বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে নগরীর আকবর শাহ থানাধীন আব্দুল হামিদ সড়কের ইউসুফ ম্যানশনের একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। পুরো ঘটনাটি রহস্যময়। পুলিশ বলছে, চেষ্টা চলছে রহস্য উন্মোচনের। নিহত ছাত্র হলেন চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউএসটিসি) এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের আসিফ শেঠ (২৬)। আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন অপর ছাত্র উইলসন (২৬)। দু’জনই ভারতের মণিপুর রাজ্যের বাসিন্দা।
আকবর শাহ থানার ওসি মোঃ আলমগীর জানান, ইউসুফ ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন ইউএসটিসির ভারতীয় শিক্ষার্থী নিহত আসিফ শেঠ ও উইলসন। ফ্ল্যাটের আরেকটি কক্ষে নীরাজ গুরু তার স্ত্রী জোৎস্নাকে নিয়ে থাকতেন। নীরাজ গুরুর বরাত দিয়ে ওসি জানান, ওইদিন রাত ১১টায় ফ্ল্যাটে সবাই একসঙ্গে বসে গল্প করেন এবং মদ্যপান করেন। এরপর নীরাজ তার স্ত্রীকে নিয়ে নিজের কক্ষে চলে যান। রাত সাড়ে ১২টার দিকে উইলসনের কক্ষ অন্ধকার দেখে নীরাজ বারবার ধাক্কা দিতে থাকেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাননি। পরে বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খোলেন। দরজা খুলে নীরাজ দেখতে পান, বাসার ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আছেন উইলসন। আর মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন আসিফ শেঠ।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মোহাম্মদ হামিদ জানান, নীরাজ প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে উইলসন ও আসিফকে চমেক কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আসিফকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, আসিফের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এদিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নীরাজ ও তার স্ত্রী জোৎস্নাকে জিজ্ঞাসাবাদসহ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।