পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ মাঠ প্রশাসনের ব্যাপক পরিবর্তন সরকারের সুদূরপ্রসারী নীল নকশারই অংশ বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, এসব গণবদলি ও পদোন্নতির ঘটনায় কমিশনের শুধু ভাবমূর্তিই নষ্ট হয়নি। বরং এতে নির্বাচন কমিশনের কর্মকান্ড বিশাল প্রশ্নের সম্মুখিন হয়েছে। গতকাল (বুধবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কাযালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী আহমেদ বলেন, খবর বেরিয়েছে সারাদেশে নির্বাচন কমিশন ও মাঠ প্রশাসনে ব্যাপক গণবদলি ও পদোন্নতি চলছে। অথচ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিয়োগ-পদোন্নতি কমিটির যিনি প্রধান তিনি গণবদলি ও পদোন্নতির বিষয়ে কিছুই জানেন না। এতে স্বয়ং ইসি’র অনেক কর্মকর্তাও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বিএনপি ছাড়াও গোটা দেশবাসী মনে করে এ ঘটনায় কমিশনের শুধু ভাবমূর্তিই নষ্ট হয়নি বরং এতে নির্বাচন কমিশনের কর্মকান্ড বিশাল প্রশ্নের সম্মুখিন হয়েছে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ডিসেম্বর থেকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রাক্কালে অশুভ উদ্দেশ্যে এই পরিকল্পিত গণবদলী ও পদোন্নতির ঘটনা ঘটানো হয়েছে কী না সেটি নিয়ে সকলের মনে বড় ধরণের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনের এই ব্যাপক পরিবর্তন একটি সুদুরপ্রসারী নীল নকশারই অংশ। আগামী নির্বাচনগুলোকে প্রভাবিত করার জন্যই একটা চক্রান্তজাল বিস্তারের আলামত কী না সেটাই দেশের ভোটারদেরকে এখন ভাবিয়ে তুলেছে।
সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচার নিয়ে আওয়ামী লীগ স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে জানিয়ে বিএনপি’র এই সিনিয়র নেতা বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, ‘সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচার হয়নি, লেনদেন হয়েছে। আবার তিনি এও বলেছেন যে, তবে সামান্য কিছু অর্থ পাচার হয়েছে।’ এর আগে মাত্র কয়েকদিন আগে সিলেটের এক সভায় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারে আমরাও দায়ী।’ এধরণের স্ববিরোধী বক্তব্য আওয়ামী নেতাদের চিরাচরিত টেকনিক। আসলে ক্ষমতাসীনদের উচ্চ পর্যায়ের অনেক নেতারাই এই লাখ লাখ কোটি টাকা পাচারে জড়িত বলেই তাদের চাপেই অর্থমন্ত্রীকে আগের কথা থেকে সরে আসতে বাধ্য করা হয়েছে। তাঁকে আবারো বলীর পাঠা করা হয়েছে। এটা সর্বজনবিদিত যে, সরকারি ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুটপাটে শুণ্য হয়ে গেছে। সরকারের লুটপাট আর দুর্নীতিতে তারা এখন টালমাটাল হয়ে গেছেন। সেদিন আর বেশী দুরে নয়-লুটপাটের জন্য একদিন জনগণের নিকট জবাবদিহি করতেই হবে। অর্থমন্ত্রী যতোই ‘জাহাজমার্কা বাজেট’ দিন না কেন, দেশের অর্থনীতি যে ফাঁকা, ফাঁপা শুণ্যগর্ভ তা দেশ-বিদেশের কারো নিকট অজানা নয়। তাই যতই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন না কেন তাতে লাভ হবে না।
সুন্দরবনের সুরক্ষাকে বিপন্ন করছে সরকারের একগুঁয়েমি নীতি গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, কয়লা পুড়িয়ে রামপাল বিদ্যূৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে জাগ্রত দেশবাসী প্রতিবাদমূখর। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মানববসতি অনিবার্য ধ্বংসের মুখে পতিত হবে। প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র নির্মূল হয়ে যাবে। রামপাল বিদ্যূৎ প্রকল্পের কারণে সুন্দরবনের বিশ্ব ঐতিহ্য চরম হুমকির মধ্যে পড়বে। কিন্তু সরকার নাছোড়বান্দার মতো দেশের পরিবেশ, জলবায়ু এবং মানুষকে ধ্বংসের মধ্যে ঠেলে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। গ্যাস, বিদ্যূৎ নিয়ে সরকারের যে মহাদুর্নীতি সেটির আরেকটি বড় সুযোগ সুষ্টি হবে এই রামপাল প্রকল্পে, সেজন্য সরকার এখন মরিয়া হয়ে প্রতিবাদকারীদের ওপর চালাচ্ছে নিষ্ঠুর উৎপীড়ণ। রক্তাক্ত ঝরাচ্ছে দেশও পরিবেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে অংশগ্রহণকারীদের ওপর। গত মঙ্গলবার রামপালে কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যূৎ উৎপাদন প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ওপর সরকারি পেটোয়া বাহিনীর হামলার ঘটনায় বিএনপি’র পক্ষ থেকে তিনি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানান। এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।