পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তির ডাস্টবিনে পরিণত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, প্রতিবেশি ভারত ও চীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করে দিচ্ছে, কয়লাখনিগুলো বাতিল করছে। কারণ, এগুলো মারাত্মক পরিবেশদূষণকারী এবং ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। আর বাংলাদেশ তাদের ফেলে দেওয়া এসব প্রযুক্তি নিচ্ছে। ভারততে খুশি করতে সুন্দরবনের পাশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প করে সুন্দরবনকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সারাবিশ্বে উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের উত্তরণ প্রক্রিয়ার মূল্যায়ন’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা। সেমিনারে ‘বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের রূপান্তর, একটি বিকল্প, স্বল্পব্যয়ী টেকসই বিদ্যুৎ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির কোর গ্রæপের সদস্য অধ্যাপক বদরুল ইমামের সভাপতিত্বে এতে মূল বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল এনালাইসিস-এর আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ মি. টিম বাকলি ও মি. সাইমন নিকোলাস। বক্তৃতা করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ, পরিবেশবিদ শরীফ জামিল প্রমূখ।
গবেষণাটি উত্থাপন আন্তর্জাতিক সংস্থা আইপিএফের জ্বালানি আর্থিক গবেষণা পরিচালক টিম বাকলি ও গবেষক সায়মন নিকোলাস গবেষণা প্রতিবেদনে বলেন, চীন ও ভারত একে একে তাদের কয়লাখনিগুলো ও কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর জোর দিচ্ছে। বাংলাদেশের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকারী ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) ২০২১ সালের মধ্য ভারতের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে যাচ্ছে। চীনেও সৌরবিদ্যুতের প্রযুক্তি দ্রুত আরও উন্নত ও সস্তা হচ্ছে। বিশ্বের বড় বড় আর্থিক ও বিমা কোম্পানি কয়লা খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে না। অথচ বাংলাদেশে সুন্দরবন ধ্বংস করা হচ্ছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়া করে।
লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ইউনেসকো তাদের দাবি তুলে নিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি আমার গণমাধ্যমে দেখেছি। ৪৮ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতার থেকে বলছি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি যাচাই-বাছাই ছাড়া প্রকাশ করা সাংবাদিকতার দিক থেকে হতাশাজনক। এ ব্যাপারে ইউনেসকোর বক্তব্য বা সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য ছাড়া সংবাদ পরিবেশন ঠিক না। বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, কয়লা এখন পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং পুরোনো প্রযুক্তি। এর মধ্যে মারাত্মক তেজস্ক্রিয় পদার্থ রয়েছে। সরকার বলছে, রামপালের কয়লার ছাই বর্জ্য দিয়ে সিমেন্টে কাঁচামাল সরবরাহ করা হবে, রাস্তা বানানো হবে। তার মানে তারা (সরকার) কি তেজস্ক্রিয় দূষণ সব জায়গায় ছড়িয়ে দেবে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।