Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিবালয়ে নদীভাঙন- বসতবাড়ি ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন

| প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আরিচা থেকে জাহাঙ্গীর ভূইয়া : পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে শিবালয়ে পদ্মা-যমুনার চরাঞ্চল ও পাড় এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে শত শত একর ফসলী জমি, বসতবাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নিঃস্ব হয়ে পড়ছে অনেক পরিবার। শিবালয় উপজেলার চরশিবালয় এলাকার ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গঙ্গাপ্রসাদ আশ্রয়ণ প্রককল্পসহ বেশকিছু বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্রমেই নাজুক আকার ধারণ করছে। ফলে এসব এলাকার লোকজনের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, শিবালয় উপজেলার কানাইদিয়া আফতাব উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গতবার নদী গর্ভে চলে যায়। এরপর পাশের গঙ্গাপ্রসাদ আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হত। এবারের ভাঙ্গনে তাও বিলীন হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া গঙ্গাপ্রসাদ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪০টি ঘর ইতিমধ্যে নদী গর্ভে চলে গেছে। এসব ঘরে বসবাসকারি ৪০টি পরিবার নি:স্ব হয়ে রাস্তা-বেরিবাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। চরশিবালয়ে ৩৫টি পরিবার এবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। এছাড়া আরিচা পিসিপোল কারখানার পশ্চিম পাশ দিয়ে রাস্তার অনেকাশং নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ায় বলি দিয়ে সাময়িক ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা হলেও দক্ষিণ শিবালয় জামে মসজিদ এবং পিসিপোল কারখানা হুমকির মুখে।
যমুনার ভাঙ্গনে তেওতা ইউনিয়নের দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট মধ্যনগর সরাকারি প্রাথমি বিদ্যালয় এবং তিনতলা ভবন বিশিষ্ট মধ্যনগর রুস্তম হাওলাদার উচ্চ বিদ্যালয় হুমকির মুখে। নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে এ বিদ্যালয় দু’টি অচিরেই নদী গর্ভে চলে যাবে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
আরুয়া ইউনিয়নের মান্দ্রাকোলা, কলাইরটেক, জগদদিয়া, কাজিয়ারটেক নয়াকান্দি, বড়রিয়া, পাটুরিয়াসহ নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এ ইউনিয়নের ৩০নং কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আরুয়া-মান্দ্রাখোলা জামে মসজিদ যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এছড়া গত একসপ্তাহে শতাধিক বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে জনানা স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে শিবালয় ১নং মডেল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. রফিককুল ইসলাম জানান, পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতিবছরই নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। গতবছরও উপজেলার কানাইদিয়া চরের ২শ’ ৫৪টি পরিবারের বাড়ি ঘর নদী গর্ভে চলে যায়। এরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি কোন লোকজনই তাদের খবর নেয়নি। তবে এবছর নদী ভাঙ্গনের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে শিবালয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকবর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল মোহাম্মদ রাশেদ ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদেরকে সহযোগীতা দেয়ার আশ্বাস দেন।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, আমরা ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ