Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রতি জেলায় ত্রাণ যাচ্ছে

| প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম


পঞ্চায়েত হাবিব : বন্যার বানভাসী মানুষের কষ্ট রোধে ৬৪ জেলায় একশত মে:টন চাল নগদ ২লাখ টাকা ও এক হাজার বান্ডিল টিন বরাদ্দ নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এছাড়া বন্যা দুর্গত ১০ জেলায় এক হাজার একশত মে: জি আর ও নগদ দশ লাখ টাকা এবং ১১ প্যাকেট শুকনা খাবার দেয়া হয়েছে। বন্যা কবলিত জেলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সরাসরি বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দে চিঠি সকল জেলা প্রশাসকদের পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে ৬৪ জেলায় একশত মে:টন চাল নগদ ২লাখ টাকা ও এক হাজার বান্ডিল টিন বরাদ্দ দেয়া হলো। এছাড়া বন্যা কবলিত ১১ জেলায় বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব জেলা গুলো হলো, সিলেটে ৮শত মে:টন চাল জিয়ার দশলাখ টাকা এবং ২০০০ প্যাকেট শুকনা খাবার. সুনামগঞ্জ জেলায়, ১০০ মে:টন, মৌলভীবাজার জেলায় ২০০ মে:টন এবং ২০০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, হবিগঞ্জ জেলায় ১০০মে:টন ও ১০০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, চট্টগ্রাম জেলায় ১০০মে:টন ও ১০০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, রাঙ্গামাটি জেলায় জলায় ১০০মে:টন ও ১০০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, বান্দরবান জেলায় জলায় ১০০মে:টন ও ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, খাগড়াছড়ি জেলায় ১০০মে:টন ও ১০০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, লালমনির হাট জেলায় ১০০মে:টন ও ১০০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, কক্সবাজার জেলায় ১০০মে:টন ও ২০০০ প্যাকেট শুকনা খাবার পাঠানো হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম, এমপি ইনকিলাবকে বলেন, বন্যা প্লাবিত মানুষের দুর্ভোগের অবসান না হওয়া পর্যন্ত সরকার তাদের পাশে থাকবে। তাদেরকে সব ধরনের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে ও প্রয়োজনীয় ঔষুধপত্র দেওয়া হবে। আমি সিলেট ও মৌলভীবাজার এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করে আজ এসেছি। সেখানে জনগনকে বলেছি আপনা কোনো চিসন্তা করবে না। সরকার আপনাদের পাশে আছে। মন্ত্রী বলেন, অকাল বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে এলাকার মানুষ বিগত মার্চ মাস থেকে দুর্ভোগের স্বীকার হয়েছে এবং সরকারও তাদের সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্ত্র থেকে জানা গেছে, গতকয়েক দিন ধরে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ডলে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্গম অঞ্চলে ত্রাণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। ওই সব এলাকায় খাবারের সঙ্গে রয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। বিশেষ করে ভাইরাস জ্বর ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধরা চরম বিপাকে পড়েছেন। কক্সবাজার টেকনাফ সরাসরি সড়ক যোগাযোগও বন্ধ হয়ে পড়েছে। ভারি বর্ষণে ফেনীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানির নিচে চলে গেছে। হবিগঞ্জ-কুলাউড়া-জুড়ি সড়ক এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। ফলে মৌলভীবাজার জেলা সদরের সঙ্গে বড়লেখা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ কিছুটা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে দুর্গতরা। সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে মৌলভীবাজারে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি দ্রত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায়। কুশিয়ারার পানি কমায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে সড়কগুলোর পাশাপাশি ফেঞ্চুগঞ্জ বাজার ও আশাপাশ এলাকা এখনো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায়। তবে গোয়াইনঘাট, বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। মৌলভীবাজারের একাংশে বন্যার পানি কমলেও অন্য অংশে বেড়েছে। বড়লেখা, জুড়ি ও কুলাউড়া উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকার পানি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে রাজনগর উপজেলায় কুশিয়ারা নদী ও কাউয়াদীঘি হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ছে।অন্যদিকে গতকাল বিকালে তিস্তার পানি বেড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। ডুবে গেছে পাট, আউস, সবজিসহ কিছু ফসল।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ইনকিলাবকে বলেন. যে কয়েটি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে সেই এলাকার বানভাসী মানুষের কষ্ট রোধে সরকার সকক জেলায় একশত মে:টন চাল এবং নগদ ২ লাখ টাকা ও এক হাজার বান্ডিল টিন করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে বন্যা দুর্গত ১১ জেলায় এক হাজার একশত মে: জি আর ও নগদ দশ লাখ টাকা এবং ১১ প্যাকেট শুকনা খাবার দেয়া হয়েছে। সচিব আরো বলেন, ডিসিদের চাহিদা পাওয়া সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে বরাদ্দ দেয়া হবে। এছাড়া ওই সব এলাকার রাস্তা ও বেড়িবাধঁ দেখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ