পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনবিলাব রিপোর্ট : দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহাকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতরাত পৌনে ১২টায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, ফরহাদ মজহার হানিফ পরিবহনের একটি বাসে যশোর থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। এসময় তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের ব্যাপারে ফরহাদ মজহারের পারিবারিক বন্ধু গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গতরাতে জানান, এইমাত্র তার স্ত্রী ফরিদা আখতার উদ্ধার হওয়ার খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, উদ্ধারের পর ফরহাদ মজহারের সাথে তার কথাও হয়েছে।
এর আগে আজ সন্ধ্যা থেকে ফরহাদ মজহারের সন্ধানে খুলনার ইব্রাহিম মিয়া সড়কে অভিযান চালিয়েছে র্যাব-৬ এর সদস্যরা। অভিযান চালানোর সময় সেখান থেকে একটি পরিত্যাক্ত মাইক্রোবাস উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল সন্ধ্যার দিকে এ অভিযান শুরু করে র্যাব।
র্যাব ৬-এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলাম তখন জানিয়েছিলেন, নগরীর শিববাড়ী মোবাইল টাওয়ারে ফরহাদ মজহার সর্বশেষ কথা বলেছেন বলে তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। এ কারণে কেডিএ সংযোগ সড়কে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে সব যানবাহন তল্লাশি চালাচ্ছেন। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘিরে রাখা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ফরহাদ মজহারের যে নম্বর দিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে।
এর আগে বিকেলে ফরহাদ মজহারের রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডের এক নম্বর বাড়িতে তাঁর বন্ধু গৌতম দাস সাংবাদিকদের জানান, ভোর ৫টার দিকে শ্যামলীর রিং রোডের এক নম্বর বাসার সামনে থেকে কে বা কারা ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। তাঁকে নিয়ে যাওয়ার আধ ঘণ্টা পর ফরহাদ মজহারের মোবাইল ফোন থেকে তাঁর স্ত্রীর কাছে টেলিফোন আসে। ফোনে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এ কথা বলেই তিনি ফোনটি কেটে দেন। এরপর বিষয়টি আদাবর থানার পুলিশকে জানানো হয় বলে জানান গৌতম। তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফরহাদ মজহার কেন এত ভোরে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গৌতম দাস জানিয়েছিলেন, ফরহাদ মজহার রাত ৩ থেকে ৪টার দিকে ঘুম থেকে ওঠেন। এরপর তিনি বিভিন্ন পড়াশোনা ও লেখালেখির কাজ করেন। কিন্তু কেন তিনি গতকাল এত সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন সে সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি গৌতম দাস।
বাড়ির দু-একজন নিরাপত্তারক্ষী ফরহাদ মজহারকে বাসা থেকে বের হতে দেখেছেন বলে জানান তাঁর আরেক বন্ধু মোস্তাহির জহির। কিন্তু তাঁকে কেউ নিয়ে গেছে কি না সেটি তাঁরা দেখেননি। জহির আরো জানান, ভবনের নিচে লাগানো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় দেখা গেছে যে তিনি ভবন থেকে বের হচ্ছেন।
ফরহাদ মজহারের অপহরণের খবর পেয়ে তাঁর বাসায় যান পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বিকেলে যখন ফরহাদ মজহার আরেকবার টেলিফোন করেন, তখন সেখানে পুলিশের একজন অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক, আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) উপপরিদর্শক পর্যায়ের তিনজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহারকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। তাকে ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতরাত পৌনে ১০টায় তিনি তার ব্যক্তিগত টুইট বার্তায় এ আহŸান জানান।
টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘ফরহাদ মজহারকে এখনি তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে, অন্যথায় এর দায় সরকারকে নিতে হবে। এটি শাসকচক্রের আরেকটি নিষ্ঠুর কর্ম’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।