মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : গাজা উপত্যকার শাসন ব্যবস্থায় হামাস আর এর চিকিৎসা খাতের নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) হাতে। ২০০৭ সালে ফাতাহকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে এ দুই পক্ষের ক্ষমতার লড়াই শুরু হয়। দুই পক্ষের রেষারেষিতে ক্ষমতার লড়াইয়ে এখন প্রাণ দিতে হচ্ছে গাজার শিশুদের। গাজা উপত্যকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। ইসরাইলের অধীন পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে গিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে হয় এর অধিবাসীদের। ২০ লাখ ফিলিস্তিনি এ দারিদ্র্যপীড়িত উপত্যকা থেকে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি পাচ্ছে না। পশ্চিম তীরভিত্তিক পিএ গাজা উপত্যকার বাইরে চিকিৎসাসেবার অনুমতিপত্র ও প্রয়োজনীয় অর্থসহায়তা দিয়ে থাকে। কিন্তু কয়েক মাস ধরে পিএর অনুমতিপত্র প্রদানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। এতে উপত্যকায় বন্দি অবস্থায় অনেক শিশুই মৃত্যুবরণ করছে পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাবে। চিকিৎসার অনুমতিপত্র দিতে দেরি হওয়ায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজার আল শিফা হাসপাতালের নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রে এক বছরেরও কম বয়সী তিন নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এরা সবাই জন্মগতভাবে হৃদরোগে ভুগছিল। এদিকে পিএ ইসরাইলকে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিতে বলেছে। এতে দিনে মাত্র ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহে গাজার ১৪টি সরকারি হাসপাতাল ও ১৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। গাজার ডেপুটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউসুফ আবু রিশ এ ঘোষণাকে মৃত্যুদÐের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি জানান, গত তিন মাসে ১১ ফিলিস্তিনি মারা গেছে শুধু গাজার বাইরে চিকিৎসার অনুমতি না পেয়ে, যার জন্য পিএ দায়ী। কারণ সব মৃত্যুই গাজার বাইরে চিকিৎসার মাধ্যমে এড়ানো সম্ভব ছিল। তিনি জানান, গত মাসে গাজার ১ হাজার ৬২০টি চিকিৎসার অনুমতির আবেদন নাকচ করেছে ফিলিস্তিন ও ইসরাইল কর্তৃপক্ষ। আরো দেড় হাজার আবেদন এখনো অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায়। পিএর প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের এ ব্যবস্থার মূল্য দিতে হচ্ছে ছোট শিশুগুলোর প্রাণ দিয়ে। ইসরাইলের মানবাধিকার সংস্থা চিকিৎসকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানায়, ২০১৬ সালে পিএর কাছ থেকে প্রতি মাসে অনুমতি পাওয়া যেত ২ হাজার ৪১টি। সেখানে ২০১৭ সালের মে মাসে প্রতিদিন অনুমতি মিলেছে মাত্র ১০টি, যেখানে গড় আবেদনের সংখ্যা ১২০। তবে পিএ গাজার এ দুর্দশার জন্য তাদের দায় অস্বীকার করছে। পশ্চিম তীরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাওয়াদ আওয়াদের মতে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি সঠিক নয়। হামাস শাসিত গাজা উপত্যকার জন্য তাদের করণীয় দায়িত্ব তারা পালন করছে। তাদের পক্ষে সম্ভব সব সেবাই তারা দিচ্ছে। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।