পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : ভোটার ও জনমত বৃদ্ধি করতে মাঠে নামছে খুলনা বিএনপি। খুলনায় সোয়া এক লাখ সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে দলটি। নতুন সদস্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে নারী, ছাত্র ও শ্রমিকদের বেশি গুরুত্ব দেবে তারা। বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির উপস্থিতিতে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামবে। সেই সাথে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করণের ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ের সকল ইউনিট সক্রিয় থাকবে দলটির। দীর্ঘ আট বছর পর খুলনায় নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন শুরু করছে বিএনপি।
সূত্রমতে, আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনে বিশ্বাসী এবং স্বচ্ছ মানুষগুলোকে এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আগামী সপ্তাহে জেলা ও নগর শাখার পৃথক বৈঠক থেকে সদস্য সংগ্রহের দিনক্ষণ চুড়ান্ত করা হবে। নগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু জানান, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির একজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এ কার্যক্রম শুরু হবে। দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে নগর শাখার সভায়। তার দেয়া তথ্যমতে, ২০০৯ সালে মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে দলের প্রাথমিক সদস্য সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার। শাসকদলের অত্যাচার-নির্যাতনের কারণে এখানে বিএনপি’র জনসমর্থনের পাল্লা ভারি হয়েছে। এবার নতুন সদস্য তালিকায় আরও ৭৫ হাজার মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে বলে দলের উদ্যোগ রয়েছে। এর মধ্যদিয়ে কর্মীদের মধ্যে কর্ম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসন এবং কেসিসিতে উল্লেখযোগ্য ফলাফলে আশাবাদী বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
জেলা বিএনপি’র সূত্রমতে, খুলনার ৬৮টি ইউনিয়নে ২৫ হাজার নতুন সদস্য সংগ্রহের টার্গেট রয়েছে দলটির। হামলা-মামলা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের ভয়ে এই প্রজন্মের যুবকরা বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারছে না। জেলা শাখার সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল হাসান বাপ্পি বলেন, সভাপতি (এ্যাড. শফিকুল আলম মনা) দেশে ফেরার পর বর্ধিত সভায় সদস্য সংগ্রহের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে। রূপসা, ডুমুরিয়া ও দিঘলিয়ায় সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাড়া পড়বে বলে তিনি আশাবাদী। দাকোপ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অসীত কুমার সাহা জানান, পানখালি, সুতারখালি, বাজুয়া ও বানিশান্তা ইউনিয়নে নতুন সদস্য সংখ্যা বাড়বে। এ উপজেলায় দেড় হাজার নতুন সদস্য দলে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে তিনি আশাবাদী। তার দেয়া তথ্য মতে, দশটি হয়রানিমূলক মামলায় উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল খায়ের খান, পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাফ্ফর হোসেন, যুবদলের অমল গোলদার, শ্রমিক দলের শহিদুল ইসলাম, পানখালি ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান হয়রানির শিকার হয়েছেন।
দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান জানান, নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনের পতাকাতলে ভিড়ছে। সেই সাথে নারী কর্মীরাও এবার দলে অন্তর্ভুক্ত হবে। সেনহাটি ও দিঘলিয়া ইউনিয়নে দলের সমর্থনের পাল্লা আরও ভারি হবে বলে তিনি আশাবাদী। তার অভিযোগ, বিরোধী রাজনৈতিক দলের পাঁচজন কর্মী একত্রে সমবেত হতে পারছে না। বড় আক্ষেপ থানা ভবনে সাজানো বোমা বিম্ফোরণ মামলায় দলের ২৫ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করায় হয়রানি হচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ আসন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে দলের চেয়ারপারসনের ছেড়ে দেয়া আসনে উপ-নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আসগার লবী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬’র দু’টি নির্বাচনে এই আসন থেকে সাবেক স্পীকার মরহুম শেখ রাজ্জাক আলী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে নজরুল ইসলাম মঞ্জু খুলনা-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন। অপরদিকে, সাবেক হুইপ শ্রমিক নেতা মোঃ আশরাফ হোসেন খুলনা-৩ আসন থেকে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৯৯৩ ও ২০০২ সালে বিএনপি’র মনোনয়নে মরহুম শেখ তৈয়েবুর রহমান এবং ২০১৩ সালে নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি মেয়র নির্বাচিত হন।
এদিকে, গত ২৬ মে সপ্তাহে ফুলতলা উপজেলা শাখার আহবায়ক সরদার আলাউদ্দিন এবং গত ২০ জুন দৌলতপুরে ছাত্রদল নেতা ফয়সাল মাহমুদ শিপলু নিহত হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুসরন করতে যেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় শাসকদলের কর্মীদের দ্বারা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে কর্মীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছে। বিএনপি’র নীতি আদর্শে বিশ্বাসী নেতাকর্মীদের চিংড়ির ঘের, বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার, স্কুল-মাদরাসার কমিটি ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা দখল করেছে। পুলিশের বাঁধার মুখে বিরোধীদল সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারছে না। এমনকি ঈদের আগেও বিএনপি’র কর্মীদের সাথে নানাভাবে ঝুট ঝামেলা মেটাতে হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।