২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
আমাদের পরিচিত ও দেশী ফল সফেদা। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ অনেক উপকারী এই ফলটি হরহামেশাই হাতের নাগালে পাওয়া যায়। সফেদা (ঝধঢ়ড়ঃধ) একটি পুষ্টিমান সমৃদ্ধ অত্যন্ত মিষ্টি, সুস্বাদু ও সুন্দর গন্ধযুক্ত ফল। এছাড়াও এতে রয়েছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহের ভিটামিন এ, সি এবং ই, তামা, লোহা ইত্যাদি। সফেদার প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৮৩ কিলোক্যালরি, শর্করা ১৯.৯৬ গ্রাম, আমিষ ০.৪৪ গ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ ০.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৫ ০.২৫২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ ০.০৩৭ মিলিগ্রাম, ফলেট ১৪ আইইউ, ভিটামিন সি ১৪.৭ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২১ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৮ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১২ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৯৩ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১২ মিলিগ্রাম, জিংক ০.১ মিলিগ্রাম। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এই ফলটি রয়েছে অনেক ঔষধিগুণ।
সফেদার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টি পরামর্শক সেলিনা বদরুদ্দিন জানান, সফেদায় রয়েছে প্রচুর খাদ্যআঁশ যা কোষ্ঠাকাঠিন্য দূর করে এবং হজমে সাহায্য করে।
যাদের ঘন ঘন ঠা-া লাগে তারা নিয়মিত সফেদা খান। ঠা-া লাগার সমস্যা কমে যাবে।
ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে সফেদা মহাকার্যকরী।
যারা ওজন কমানো নিয়ে চিন্তিত তারা নিয়মিত সফেদা খেতে পারেন।
সফেদা শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করে এবং ফুসফুস ভালো রাখে।
নিয়মিত সফেদা খেলে মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় ও দাঁত ভালো থাকে।
সফেদা একটি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল, তাই একে প্রাকৃতিক গোলাপ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
আধাপাকা সফেদা জলে ফুটিয়ে কষ বের করে খেলে ডায়রিয়া ভালো হয়।
এতে প্রদাহ বিরোধী উপাদান রয়েছে যা ক্ষয়কারক গ্যাস্ট্রিক, আন্ত্রিক প্রদাহ, পেট জ্বলা ইত্যাদি রোগের সমাধান করে।
সফেদা খেলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ দূর হয়। এছাড়াও সফেদায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে।
শরীরের কোষের ক্ষতিসাধন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ আছে, এটি চোখ, ত্বক ও হাড়ের জন্য খুব উপকারী।
নিয়মিত সফেদা খেলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে। তাই বেশি খেলেও শরীরে মেদ বাড়ার আশঙ্কা থাকে না।
সফেদার পুষ্টি এবং কার্বোহাইড্রেট থেকে কর্মজীবী মায়ের জন্য অনেক উপকারী। এটা গর্ভাবস্থায় বমি বমিভাব এবং মাথা ঘোরা দূর করতে সাহায্য করে।
সফেদায় থাকা খাদ্যআঁশ, পলিফেনলিক যৌগ ও ভিটামিন আমাদের শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত সফেদা খেলে শারীরবৃত্তীয় কাজের গতি ত্বরান্বিত হয়।
এফলে থাকা ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস হাড়ের গঠনকেও মজবুত করে।
হঠাৎ করে সর্দি, কাশি হলে ওষুধের বিকল্প হিসেবে সফেদা খেতে পারবেন।
সফেদায় আছে প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ। এই গ্লুকোজ দেহে বাড়তি শক্তি জোগায়। কাজেও আসে গতি।
সফেদা ফলের স্নায়ু শান্ত করার অসাধারণ এক ক্ষমতা আছে। তাই খেতে পারেন।
সফেদা একদিকে ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে কোষের ক্ষয় পূরণ করে, অন্যদিকে নতুন কোষ তৈরিতে অংশ নেয়। তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে।
সফেদা বীজের চুর্ণ খেলে কিডনির রোগ ভালো হয় এবং এটা মূত্রাশয়ের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে।
ষ আলম শামস
কবি ও সাংবাদিক
ফযধশধ৭৮৬@মসধরষ.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।