পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী
দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে রোজা ভাঙ্গার যে ঈদ উৎসব অনুষ্ঠিত হয় তাকে ‘ঈদুল ফিতর’ উৎসব বলা হয়ে থাকে। এই দিনের কর্মসূচী রাসূলুল্লাহ (সা:) এভাবে প্রতিপালন করতেন। এই দিন তিনি নামাজ আদায়ের জন্য খোলা ময়দানে-ঈদগাহে পায়ে হেটে চলে যেতেন এবং পায়ে হেটেই প্রত্যাবর্তন করতেন এবং গ্রহ হতে বের হওয়ার পূর্বে কিছু ভক্ষণ করতেন। হযরত আলী (রা:) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন : ঈদের নামাজের জন্য পায়ে হেটে যাওয়া এবং বের হওয়ার পূর্বে কিছু খাওয়া রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর রীতি বা সুন্নাত। (জামে তিরমিজী)। হযরত ইবনে ওমর (রা) বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) ঈদের নামাজের ময়দানে পায়ে হেটে যেতেন এবং পায়ে হেটে প্রত্যাবর্তন করতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ)। কেবল তিনি নিজেই পায়ে হেটে ক্ষান্ত হননি, বরং সর্ব সাধারণ মুসলমানও যাতে এই আদর্শ বাস্তবভাবে অনুসরণ করে চলে তার প্রতি ও তিনি অনুপ্রাণীত করেছেন। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন : ঈদের দিন তোমরা যখন নামাজের জন্য বের হবে, তখন অবশ্যই পায়ে হেটে যাবে। (মুসনাদে আহমাদ)
ঈদের নামাজের জন্য ময়দানে যাতায়াতের প্রাক্কালে রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর নিয়ম ছিল এই যে, তিনি যাতায়াতের পথ পরিবর্তন করতেন। হযরত যাবের বিন আবদুল্লাহ (রা:) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন : রাসূলুল্লাহ (সা:) ঈদের দিনে ময়দানে যাতায়াতের পথ পরিবর্তন করতেন। (সহীহ বুখারী)
ঈদুল ফিতরের দিন সকাল বেলা নামাজের জন্য বের হওয়ার পূর্বে কিছু খাওয়াও রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর সুন্নাত ও অনুসৃত নীতি। হযরত আনাস বিন মালেক (রা:) হতে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেছেন : রাসূলুল্লাহ (সা:) ঈদুল ফিতর-এর দিন কয়েকটি খেজুর না খেয়ে সকাল বেলা নামাজের জন্য রওয়ানা হতেন না। (সহীহ বুখারী, সুনানে ইবনে মাজাহ)। এ প্রসঙ্গে হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা:) বলেছেন : রাসূলুল্লাহ (সা:) ঈদুল ফিতরের দিন ময়দানের দিকে রওয়ানা হওয়ার পূর্বে আহার করতেন। (ইবনে আবি শায়বাহ; আল বাযযার)।
রাসূলুল্লাহ (সা:) ঈদুল ফিতরের দিন ঘর হতে বের হয়ে যাওয়ার সময় হতে নামাজের স্থানে পৌঁছা পর্যন্ত তাকবীর (আস্তে) পাঠ করতেন। (ইবনে আবি শায়বাহ)। এ প্রসঙ্গে হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন : রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন : তোমরা তোমাদের ঈদ সমূহকে তাকবীর বলার মাধ্যমে সুন্দর, আনন্দ মুখর ও জাঁক জমক পূর্ণ করে তোল। (তাবরানী : আল আওছাত)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।