নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশে আসার আগে হয়তো এর আগে কখনও এতটা প্রস্তুতি নেয়ার কথা চিন্তাও করেনি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল। বাংলাদেশকে এক ফুৎকারে উড়িয়ে দেয়াটা ছিল যেন তাদের জন্য সহজ; কিন্তু দিন এখন পাল্টে গেছে। বাংলাদেশ এখন আর আগেরমত নেই। গত বছর অক্টোবরেই নিজেদের দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের মত দলকে টেস্টে হারিয়েছে টাইগাররা।
সেই স্মৃতি এখন পুরোপুরি তরতাজা বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়ারও বিষয়টি জানা। এ কারণে, তারাও এবার বাংলাদেশে আসার আগে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েই আসছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের কন্ডিশন তৈরি করে তারা ডারউইনে একটি প্রস্তুতি ক্যাম্পেরও আয়োজন করছে। বাংলাদেশে আসার এক সপ্তাহ আগেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলবে বলে জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
ডারউইনের মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ১৩ সদস্যের অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াডের প্রস্তুতি ক্যাম্পটি শুরু হবে ১৪ আগস্ট থেকে। ১৩ সদস্যের এই দলটির সঙ্গে একজন ফাস্ট বোলার যোগ হতে পারে। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে সেখান থেকে হিলটন কার্টরাইট কিংবা অ্যাস্টন এগারের মধ্য থেকে একজনকে নেয়া হবে অসিদের স্কোয়াডে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার টিম পারফরম্যান্স ম্যানেজার প্যাট হাওয়ার্ড বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ সফরের জন্য ডারউইন ক্যাম্পটি স্টিভেন স্মিথদের জন্য বিরাট উপকারে আসবে। যেখানে প্রায় বাংলাদেশের কন্ডিশনেই প্রস্তুতি নেবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। অনুশীলনের জন্য ডারউইন বেছে নেওয়ার ব্যাখ্যায় অস্ট্রেলিয়া দলের পারফরম্যান্স ম্যানেজার প্যাট হাওয়ার্ড বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মতো কন্ডিশন পেতে এনটি ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করা। বছরের শুরুতে ভারত সফরের আগে দুবাইয়ে আমরা এটা করেছিলাম। ডারউইন থেকে সরাসরি বাংলাদেশে রওনা দেওয়ার আগে সম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতি নিতে পারবে দল।’
ডারউইনে এখন শুষ্ক মৌসুম। একই আবহাওয়া থাকবে আগস্টেও। তাপমাত্রা থাকবে ২১ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এনটি ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী সিইও ট্রয় ওয়াটসন তাই বলছেন, ‘বাংলাদেশে যে কন্ডিশনে তারা খেলবে, অনেকটা সে রকম পরিবেশে প্রস্তুতির আয়োজন করছি। এতে খেলোয়াড়েরা দারুণ উপকৃত হবে।’
এদিকে আগের দিন উসমান খাওয়াজার বক্তব্য থেকেই পরিস্কার, এই বাংলাদেশকে ছোট করে দেখছে না অস্ট্রেলিয়া। যদিও বাংলাদেশের বিপক্ষে খাওয়াজা খেলেছেন মোটে একটা ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন বিশ্বকাপের সেই দেখাতেই। সেখানে খুব একটা সুবিধা করতে না পারা প্রতিপক্ষের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের অগাধ শ্রদ্ধা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন সংস্করণ মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই বাংলাদেশের রেকর্ড সবচেয়ে খারাপ। ২৮ ম্যাচে জয় মাত্র একটি, সেটাও এসেছিল এক যুগ আগে। তবে খাওয়াজা মনে করেন, তেমন দিন আর নেই। দেশের মাটিতে বাংলাদেশ এখন প্রবল প্রতিদ্ব›দ্বী, ‘ওরা দেশের মাটিতে খুব ভালো দল, অনেকটা ভারতের মতো। ভারতে যেমন ছিল ওদের উইকেট প্রায় তেমনই। এটা একটা চ্যালেঞ্জ হবে।’
পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটসম্যান খাওয়াজা আগামী অগাস্টে প্রথমবারের মতো আসবেন বাংলাদেশে। শুধু তিনি নন, দলের সব সদস্যই বাংলাদেশের বিপক্ষে ও বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলবে, ‘খুব কঠিন সফর হবে। কারণ, এর আগে আমি কখনও বাংলাদেশে যাইনি। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী (বাংলাদেশ) খুব ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। ইচ্ছেমত চলাফেরা করা খুব কঠিন। অস্ট্রেলিয়া থেকে একদমই আলাদা।’
দেশের মাটিতে নিজেদের শেষ টেস্ট সিরিজ বাংলাদেশ ১-১ এ ড্র করেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আর শ্রীলঙ্কায় নিজেদের সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে ১-১ এ ড্র করেছে মুশফিকুর রহিমের দল, ‘মানুষ বাংলাদেশ সম্পর্কে ভাবে, আরে এটা তো বাংলাদেশ, জেতা সহজ হবে। তবে ব্যাপারটা মোটেও তেমন নেই। ওরা দেশের মাটিতে খুব প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ দল। খুব ভালো একটি সিরিজ হতে যাচ্ছে।’
অস্ট্রেলিয়াই সবচেয়ে কম, মাত্র চারটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। এর শেষটি সেই ২০০৬ সালে। সেবার প্রথম ম্যাচে ফতুল্লায় হারতে হারতে বেঁচে গিয়েছিল রিকি পন্টিংয়ের দল। পরের ম্যাচে নাইটওয়াচম্যান নেমে জেসন গিলেস্পি করেছিলেন অবিশ্বাস্য এক কাÐ- দ্বিশতক। ওই ম্যাচই তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।
সাবেক এই পেসার শুভ কামনা জানিয়ে রেখেছেন স্টিভেন স্মিথদের, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলার জন্য খুব ভালো জায়গা। ওখানে সময়টা হবে বিস্ময়কর এবং ওরা সত্যিই উপভোগ করবে।’
১৮ আগস্ট ঢাকায় এসে পৌঁছার কথা অস্ট্রেলিয়া দলের। তার জন্য ইতিমধ্যেই শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।