নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : রাশিয়ার গ্যাজপ্রমস পঞ্চম ফ্রেন্ডশিপ ফুটবল উৎসবে বাংলাদেশ থেকে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে খেলবেন গোলাম রাব্বী খান। লাল-সবুজের এই ক্ষুদে ফুটবলার ফ্রেন্ডশিপ ফুটবল উৎসবে খেলতে আগামী সোমবার রাশিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন।
রাশিয়ায় এখন চলছে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। একই সঙ্গে স্বাগতিকরা ক্ষুদে ফুটবলারদের জন্য আয়োজন করছে গ্যাজপ্রমস পঞ্চম ফ্রেন্ডশিপ ফুটবল উৎসবের। যে উৎসবে ৬৪ দেশের বাছাইকৃত অনূর্ধ্ব-১২ ফুটবলাররা প্রতিনিধিত্ব করবেন। ইতোমধ্যে রাশিয়া লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করে দিয়েছে, কোন দেশকে কোন পজিশনের খেলোয়াড় পাঠাতে হবে। লটারিতে বাংলাদেশের ভাগ্যে উঠেছে স্ট্রাইকার পজিশন। ক্ষুদে ফুটবলারদের এই আনন্দ উৎসবে একজন স্ট্রাইকার নির্বাচন করতে গত ১৬ এপ্রিল ট্রায়ালের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। প্রায় দু’শ ফুটবলারের অংশগ্রহণে উন্মুক্ত ট্রায়াল থেকে প্রাথমিকভাবে তিনজন- গোলাম রাব্বী খান, সম্পদ হোসেন ও ড্যানিয়েল করিমকে বাছাই করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বাফুফের স্ট্র্যাটেজিক ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মালি স্ট্রাইকার হিসেবে রাব্বীকেই বেছে নেন। রাশিয়া যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নিবিড় অনুশীলনে ব্যস্ত রাব্বি। প্রতিদিন মদনগঞ্জ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন মাঠে অনুশীলন করছেন তিনি। স্থানীয় কোচ স্বপন, খোকন ও মুকুল তার অনুশীলনে তদারকি করছেন।
রাজধানীর অদূরে নারায়ণগঞ্জের আলম চাঁদ স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র গোলাম রাব্বী খান রাব্বী। স্থানীয় মদনগঞ্জ ফুটবল একাডেমির শিক্ষার্থী ১১ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়। শিশু বয়সে অন্যেরা যেখানে চকলেট পছন্দ করতো, সেখানে চকলেটের চেয়ে ফুটবলকেই টেনে নিত রাব্বি। রাশিয়া যাওয়া প্রসঙ্গে রাব্বি বলেন,‘অনেক দিন আগে শুনেছি আমি রাশিয়া যাবো। সেই থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। এবার সেই অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। দিন যতই এগিয়ে আসছে, খুব ভালো লাগেছ।’
তার বাবা বশির উদ্দিন খান বলেন, ‘আমি এখনও আশায় বসে রয়েছি, কবে রাশিয়া যাবে রাব্বি। কারণ এর আগেও একবার ওকে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা ছিল বাফুফের। কিন্তু সেবার তার যাওয়া হয়নি। এবার যেতে পারছে বলে সত্যিই আমি খুশী। তবে রাব্বির সঙ্গে যাওয়ার জন্য আমি বাফুফেতে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে যেতে অনুমোদন দেয়নি।’ তিনি যোগ করেন, ‘ঈদের দিন যেতে হবে বলে ওর মনটা খারাপ হচ্ছে। তবে আমি তাকে বলেছি, মন শক্ত কর। তুমি দেশের জন্য খেলতে যাচ্ছো। সব সময় উপরওয়ালাকে স্মরন করবে। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের দোয়া রয়েছে তোমার সঙ্গে। এভাবেই রাব্বিকে মনোবল যোগাচ্ছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।