Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মহাসড়কের বেহাল দশা

| প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দীর্ঘস্থায়ী যানজট ২ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ৬-৭ ঘণ্টা : ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ


ইনকিলাব রিপোর্ট : সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কের বেহাল অবস্থা। সড়ক-মহাসড়কে যানজট লেগেই আছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো মহাসড়কে ২০/২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট হচ্ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়তি যাত্রীর চাপ, বেপরোয়া চলতে গিয়ে দুর্ঘটনা, বিপত্তির ঘটনা মিলে চরম ভোগান্তি শুরু হয়ে গেছে। ঈদের ছুটিতে আরও ভোগান্তি অপেক্ষা করছে।  সরকারের পক্ষ থেকে  ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও বাস্তবে তার কিছুই হয়নি। রাস্তা সংস্কারের কাজ যতোটুকু হয়েছে সবই জোড়াতালি দিয়ে। বৃষ্টিতে সেই মেরামতের কাজও ভেস্তে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজটে শত শত যানবাহন আটকে ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈদে ঘরমুখি যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘœ করার জন্য আরও আগে থেকে মহাসড়কগুলো সংস্কার করা উচিত ছিল। আগভাগে সড়ক-মহাসড়কগুলো সংস্কার করা হলে এতোটা ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হতো না। এদিকে, ঘরমুখি যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ইতোমধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চার লেনের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।   
আমাদের মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে থেমে থেমে চলছে গাড়ির চাকা। টাঙ্গাইল থেকে দুই ঘন্টার দূরত্বের ঢাকা পৌছাতে ৬/৭ ঘন্টা সময় লাগছে । এতে এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের ছুটি শুরু হলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে জানা গেছে।
মহাসড়কের চার লেনের নির্মাণ কাজ চলা, যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি, অব্যহত বৃষ্টি, যানবাহন বিকল হয়ে পড়া ও খানাখন্দের কারণে এই যানজট হয়ে থাকে বলে জানা গেছে। তবে সড়ক দুর্ঘটনা ও মহাসড়কে যানবাহন বিকল হয়ে না পড়লে টাঙ্গাইল বাইপাস থেকে গোড়াই পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বিঘিœত না হলেও কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় ঢাকামুখি যানবাহন ঢুকতে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় প্রতিনিয়ত ওই এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। সেই যানজট দীর্ঘস্থায়ী হলে তা মির্জাপুর ছাড়িয়ে টাঙ্গাইলের দিকে দীর্ঘ হয় বলে হাইওয়ে  ও ট্রাফিক পুলিশ সূত্র জানিয়েছেন।  
গতকাল মঙ্গলবার ভোরে মহাসড়কের পাকুল্যা এলাকায় সেনাবাহিনী সদস্যদের বহনকারী একটি বাসের সঙ্গে অপর একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
মির্জাপুর থানা, ট্রাফিক পুলিশ ও যানবাহনের চালকরা জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাছাড়া গত কয়েক দিনে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহনের গতি থাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া রাত ৪টার দিকে মহাসড়কের করটিয়াতে ঢাকাগামী পাথরভর্তি একটি ট্রাক রাস্তার ওপর উল্টে যায়। কালিয়াকৈরে একটি ট্রাক এবং মির্জাপুরের  ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকায় আরো দুটি ট্রাক দুর্ঘটনাকবলিত হয়। এতে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোরে পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকগুলো মহাসড়কের ওপর থেকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল শুরু হয়।
মহাসড়কের গোড়াই থেকে পাকুল্যা পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারছে না। এর মধ্যে ধেরুয়া রেলক্রসিংয়ে উড়াল সেতু না থাকার কারণে ট্রেন চলাচলের সময় কমপক্ষে ৫ মিনিট যানবাহন থেমে থাকছে। রেলক্রসিংয়ের পূর্ব পাশে সৃষ্ট বড় ধরনের একটি গর্তে যানবাহন আটকা পড়ে অনেক সময় বন্ধ হয়ে যায়। এতে যানজট বাড়ছে। মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ বেশি দেখা গেছে। টাঙ্গাইলগামী যানবাহনের গতি থাকলেও ঢাকামুখী যানবাহনের চাকা কিছু সময় ঘুরলেও বেশি সময় থেমে থাকতে হচ্ছে। এত সব ঝক্কিঝামেলা কাটিয়ে কালিয়াকৈর অংশে পৌছলে চন্দ্রা এলাকায় যানবাহন থেমে থাকায় যানজট দীর্ঘ থেকে থেকে দীর্ঘস্থায়ী হয়।  ফলে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা পৌছাতে যেখানে দুই ঘন্টা লাগার কথা সেখানে অনেক সময় ৬/৭ ঘন্টা সময়ও লাগেছে। এই দীর্ঘস্থায়ী যানজটে আটকা পড়ে শত শত যানবাহনের হাজারো ছাত্রীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী শিশু  ও বৃদ্ধ যাত্রীরা বেশী ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।  
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মেজর (অব.) খন্দকার আবদুল হাফিজ বলেন, ভোর ৪টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে মির্জাপুরের উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় যানজটে আটকা পড়েন। সেখান থেকে সকাল সোয়া ১০টায় মির্জাপুরে আসেন। পিআইবির সহকারী অধ্যাপক পঙ্কজ কুমার কর্মকার বলেন, সোমবার ভোরে ঢাকা থেকে মির্জাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়ে দুপুর সাড়ে বারটার দিকে মির্জাপুরে পৌঁছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ঈদ ঘনিয় আসায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া মহাসড়কের চার লেনের কাজ চলা, বৃষ্টি, মহাসড়কে যানবাহন বিকল হয়ে পড়া ও কালিয়াকৈর চন্দ্রা এলাকায় ঢাকামুখি যানবাহন ডুকতে সময় নেয়ায় যানজট দীর্ঘস্থায়ী হয়। তবে মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে হাইওয়ে, ট্রাফিক ও থানা পুলিশ সকল ধরনের চেষ্টা  চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
টঙ্গী থেকে মোঃ হেদায়েত উল্লাহ জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও পানিবদ্ধতার ফলে গত তিনদিন ধরে টঙ্গী বাজার থেকে শুরু করে জয়দেবপুর চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত, আব্দুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়া ও বাইপাল হয়ে কালিয়াকৈর এবং চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুকি পর্যন্ত তীব্র যানজট লেগেই আছে। এই দীর্ঘ যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় আটকে থেকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীসাধারণের। দুপুরের পর কিছু সময় যানজট কম থাকলেও প্রতিদিন সকার থেকে দুপুর বারটা এবং বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই যানজট অব্যাহত থাকছে। বৃষ্টি শুরু হলে এই যানজট আরো প্রকট আকার ধারণ করে থাকে। ফলে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী প্রায় ২৬টি জেলায় যাতায়াতকারি যাত্রীদেরকে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
গাজীপুর সিটিতে অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা শিল্প-কারখানা ও বাড়ি ঘরের কারণে বৃষ্টির পানি দ্রæত নামতে না পারায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ভুক্তভোগিদের অভিযোগ। এছাড়া রাস্তায় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে যানবাহন বিকল হওয়া ও মহাসড়কের বিরাট অংশ বেদখল হওয়ায় এই যাটজট বলে মনে করছেন সংশ্লিষটরা।
ভুক্তভোগি গাড়ি চালক ও যাত্রীসাধারণ জানায়, মহাসড়কের টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সামনে, হোসেন মার্কেট, কুনিয়া তারগাছ, মালেকের বাড়ি, বাসন সড়ক ও অধিকাংশ স্থানে ড্রেনের পানি উপচে মহসড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অনেক স্থানে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত হয়ে সেখানে যানবাহন বিকল হয়ে পড়ায় এই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট ও নির্মাণ সামগ্রী রেখে প্রায় একতৃতীয়াংশ জায়গা বেদখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। এতে করে যানজট আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে।
এদিকে প্রতিদিনই গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে মির্জপুর এলাকার জামুকি পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশের কয়েকটি স্থানে মালবাহী ট্রাক বিকল হয়ে এই যানজটের সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়। এই মহাসড়কের সফিপুর, মৌচাক ও কোনাবাড়ি পর্যন্ত সরেজমিনে গিয়ে দেখা য়ায় শত শত যাত্রীবাহী গাড়ি ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে আছে। যানজট আর ভ্যাপসা গরমে বাসের ভেতর শিশু ও বৃদ্ধদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ১৬ কি.মি. যানজট
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)  থেকে মোঃ খলিল সিকদার জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা গোলাকান্দাইল এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) নামে দুটি মহাসড়কে এখন নিত্যদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল দুুপুর থেকে এ দুই মহাসড়কের উভয় দিকে ১৬ কিলোমিটার যানযটের সৃষ্টি হয়। উভয় সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হওয়ার কারনে ঘন্টার ঘন্টা আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রীসাধারনসহ বিভিন্ন মালবাহী যানবাহনের চালকরা।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, কাগজপত্র দেখার নামে পরিবহন থেকে চাঁদা আদায়, সড়কে গাড়ি দাড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি বিকল হওয়া, অহেতুক যানবাহনে রেকার লাগানো, সড়কে বড় বড় গর্ত, ফুটপাত ও ভুলতা ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ নিয়ম না মেনে করার কারনে এ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে পুলিশের দাবি, দুটি মহাসড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণ রাখতে ট্রাফিক পুলিশের এক জন সার্জেন্টসহ তিন জন পুলিশ সদস্য ও কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের একজন এসআইসহ তিন জন পুলিশ সদস্য দেয়া হয়েছে। আর এদের নিয়ন্ত্রন করছেন ট্রাফিক পুলিশের এক জন ইন্সপেক্টর। অল্প কিছু সংখ্যক পুলিশ সদস্যর কারনে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। যানজট নিরসনের জন্য ভুলতা ফাড়ির পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ঈদে যানবাহনের চাপ অতিরিক্ত হওয়ায় যানজট লেগে যাচ্ছে। তারপরও লোকবল বাড়িয়ে যানজট অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।  
এছাড়া ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজে সারা দিন-রাত ধলাবালিতে পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। ধুলাবালির কারনে স্থানীয় জনগন দিন দিন অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে সোমবার-মঙ্গলবার বৃহত্তর গাউছিয়া পাইকারী কাপড়ের বাজার ও বৃহস্পতিবার গোলাকান্দাইল গরুর হাটের জন্য এখন প্রায় সময়ই ওই দুই মহাসড়কে যানজটের ভয়াবহতা বেড়ে যাচ্ছে। পরিবহন চালক, যাত্রী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা এলাকা দিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়ক ক্রস করেছে। এছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হলে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কে যানাবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। আবার এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কে যানাবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। দুটি সড়কেই যানবাহনের চাপ অনেক বেশি। তাই দুটি সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয় এবং যানজট সৃষ্টি হয়ে যায়। এছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক মোটামুটি প্রসস্থ্য হলেও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কটি প্রসস্থ্য অনেকটা কম। যার ফলে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কে কোন প্রকার যানবাহন বিকল হয়ে পড়লেই তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, গোলাকান্দাইল-কাঞ্চন, কুড়িল বিশ^রোড ও কালিগঞ্জ সড়কে লক্কর-ঝক্কর ও ফিটনেসবিহীন প্রাইভেটকার ও লেগুনা চলাচল করছে। আর ফিটনেসবিহীন লক্কর-ঝক্কর যানবাহন যোগে অতিরিক্ত ভাড়ায় চলাচল করছে যাত্রীসাধারন। এসব লক্কর-ঝক্কর যানবাহন গুলো প্রায় সময়ই সড়কে বিকল হয়ে পড়ছে। এতে করে যানজট সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শহিদুল হক ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহাবুব আলম বলেন, আইন অমান্য করে যেসব যানবাহন চলাচল করতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া যানজট নিরসন করতে গিয়ে রাত-দিন পুলিশ সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। যানবাহন চালকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।
এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও গতকাল দীর্ঘ যানজটে আটকা ছিল হাজার হাজার যানবাহন। সকাল থেকেই কাঁচপুর সেতু, মেঘনা ও গোমতী সেতুর দুই পাড়ে দীর্ঘ যানজট ছিল। তাতে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, চার লেনের এই মহাসড়কে অনিয়মের কারণে যানজট দীর্ঘ হচ্ছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারনে যানজট দীর্ঘ হচ্ছে।



 

Show all comments
  • সাইফুল ইসলাম ২১ জুন, ২০১৭, ১২:৫৮ পিএম says : 0
    প্রতিবছরই মন্ত্রীদের অনেক ভালো ভালো বক্তব্য শুনি, কিন্তু সময়মত অবস্থা একই থাকে।
    Total Reply(0) Reply
  • জীবন ২১ জুন, ২০১৭, ১:০৪ পিএম says : 0
    আমাদের মহাসড়কগুলো কী কখনই পুরোপুরি ঠিক হবে না ?
    Total Reply(0) Reply
  • আসিফ ২১ জুন, ২০১৭, ১:০৬ পিএম says : 0
    মহাসড়কে যানজট নিরসনে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মহাসড়ক

২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
২১ ডিসেম্বর, ২০২২
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ