পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইয়ুব আলী : সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণ, পাহাড় ধসসহ টানা বৈরী আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ওয়াসার পানি সরবরাহ ১০ কোটি লিটার হ্রাস পেয়েছে। নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের অনেক উঁচু-নিচু টিলাময় জায়গা রয়েছে। যেখানে উঁচু জায়গা রয়েছে সেখানে গত এক সপ্তাহ ধরে ওয়াসার পানি সরবরাহ প্রায় বন্ধ। এতে করে অনেক এলাকায় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যেখানে সমতল জায়গা আছে সেখানেও নিয়মিত পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পবিত্র মাহে রমজানে রোজাদাররা অজু, গোসলসহ প্রাত্যহিক কাজে ব্যবহৃত পানি না পেয়ে চরম কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। অপরদিকে বিশুদ্ধ পানির অভাবে ওয়াসার পানিবঞ্চিত এলাকার মানুষ বাধ্য হয়ে ডোবা ও পুকুরের পানি পান করছে। ফলে তারা নানাবিধ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
রাঙ্গুনিয়ায় সম্প্রতি চালু হওয়া বড় প্রকল্প ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসা প্রতিদিন পানি পেত ১৪ কোটি লিটার। মোহরা পানি শোধনাগার থেকে পেত ৯ কোটি লিটার। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া ও পাহাড় ধসের কারণে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার থেকে এখন পানি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫ কোটি লিটার এবং মোহরা পানি শোধনাগার থেকে পাওয়া যাচ্ছে ৮ কোটি লিটার। একসাথে ১০ কোটি লিটার পানি হ্রাস পাওয়ায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে তীব্র পানি সংকটের কারণে মানুষ পানির জন্য হাহাকার করছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা গত শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিবর্ষণের ফলে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর পানিতে ঘোলার (টারবিডিটি) পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় ওয়াসার শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার ও মোহরা পানি শোধনাগারের স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে বিগত কয়েকদিন চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন দৈনিক প্রায় ১০ কোটি লিটার কম হয়েছে। অতি দ্রæত সময়ের মধ্যে পানির উৎপাদন স্বাভাবিক করার জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসার আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিবর্ষণের ফলে সৃষ্ট এ অনাকাক্সিক্ষত সমস্যার কারণে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসার পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও পাহাড় ধসের কারণে নদীতে কাদার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় পানি সরবরাহ ক্ষমতা ২১ কোটি থেকে নেমে ১৩ কোটিতে চলে এসেছে। এ অবস্থায় জনগণের দুর্ভোগ কমাতে কেমিক্যালের মাধ্যমে পানি পরিশোধনসহ রেশনিং প্রক্রিয়ায় পানি সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম মহানগরীতে দৈনিক পানির চাহিদা ৫০ কোটি লিটার। এর মধ্যে মোহরা পানি শোধনা, শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার এবং গভীর নলকূপ মিলে ওয়াসা দৈনিক ৩২ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতো। কিন্তু এর মধ্যে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এ সংকট বেড়ে গেছে।
সূত্র আরও জানায়, পাহাড় ধসসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত মঙ্গলবার থেকে দৈনিক ১০ কোটি লিটার পানি কম পাওয়া যাচ্ছে। এ সংকট কখন পুরোপুরি কাটিয়ে উঠা যায় বলা যাচ্ছেনা। তবে পানি উৎপাদনের হার দিনে দিনে বাড়ছে। বৃষ্টি একেবারে থেমে গেলে পূর্বের মতো পানি উৎপাদন করা যাবে। এদিকে হঠাৎ করে উৎপাদন কমে যাওয়ায় নগরীর এনায়েত বাজার, হালিশহর, লালখান বাজার, সুগন্ধা, বাকলিয়া, পাথরঘাটা, চকবাজার, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে পানি সংকট। তবে ওয়াসা সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে গ্রাহকের দুর্ভোগ কমাতে কেমিক্যালের মাধ্যমে পানি পরিশোধনসহ রেশনিং প্রক্রিয়ায় পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নগরবাসী আপাতত একটু পরিমিতভাবে পানি ব্যবহার করলে এ সংকট কাটিয়ে ওঠা কিছুটা হলেও সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।