২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
রোজায় ডায়াবেটিক রোগীর ওষুধ সেবন
যারা দিনে ১ বার ডায়াবেটিসের ওষুধ (যে সমস্ত ওষুধ ইনসুলিন এর পরিমান বাড়ায়) খান। তারা ইফতারের শুরুতে (রোজা ভাঙ্গার সময়) ঐ ওষুধ একটু কম করে খেতে পারেন।
যারা দিনে একাধিকবার ডায়াবেটিসের ওষুধ খান তারা সকালের মাত্রাটি ইফতারের শুরুতে এবং রাতের মাত্রাটি অর্ধেক পরিমাণে সেহরীর আধা ঘন্টা আগে খেতে পারেন।
যে সকল রোগী ইনসুলিন গ্রহণ করেন, তাদের রমজানের পূর্বেই ইনসুলিনের ধরন ও মাত্রা ঠিক করে নেয়া উচিত। সাধারনত রমজানে দীর্ঘ মেয়াদী ইনসুলিন ইফতারের সময় বেশী এবং প্রয়োজনে শেষ রাতে অল্প মাত্রায় দেয়া উচিত। দীর্ঘ মেয়াদী এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ইনসুলিন ( যা দিনে এক বার নিতে হয় যেমন, ইনসুলিন খধহঃঁং ঝড়ষড় ঝঞঅজ কিংবা দিনে এক বার কিংবা দুবার যেমন, ইনসুলিন উবঃবসরৎ)। এগুলোতে হাইপোগøাইসেমিয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কম।
রমজানের কমপক্ষে তিন মাস পূর্বে ডায়াবেটিক রোগীর অবস্থা অনুসারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মুখে খাওয়ার ওষুধ এবং ইনসুলিন ঠিক করা উচিত। রমজানের প্রথম এবং শেষ দিনে ওষুধকে বিশেষ করে সমন্বয় করে নিতে হবে। এই দুইদিন খাবার এবং জীবন যাত্রায় বিশেষ পরিবর্তন হয়ে থাকে।
রোজায় ডায়াবেটিস এর ওষুধ ব্যবহারে পরিবর্তন
রোজার পূর্বে
সালফোনাইলইউরিয়া; দিনে ১ বার; যথা- গøাইমিপেরাইড; গিøক্লাজাইড এমআর গ্রহণ করেন।
সালফোনাইলইউরিয়া; দিনে ২ বার; যথা- গিøবেনক্লেমাইড; গিøক্লাজাইড গ্রহন করেন।
মেটফরমিন ৫০০ মি: গ্রা: দিনে ৩ বার গ্রহণ করেন।
থায়াজলিনিডিয়ন অথবা ইনক্রিটিন দিনে ১ বার গ্রহণ করেন।
রিপাগিøনাইড অথবা নেটিগিøনাইড।
রোজা চলাকালীন
ইফতারে শুরুতে ( রোজা ভাঙার সময়) ওষুধটি একটু কম করে খেতে পারেন।
সকালের মাত্রাটি ইফতারের শুরুতে এবং রাতের মাত্রাটি অর্ধেক পরিমাণে সেহরীর আধা ঘন্টা আগে খেতে পারেন।
ইফতারের পর মেটফরমিন ১০০০ মি: গ্রা: এবং সেহরীর পর ভরা পেটে ৫০০ মি: গ্রা: খেতে পারেন।
ওষুধটি একই মাত্রায় রাতের যে কোন সময়ে খেতে পারেন।
ইফতারের শুরুতে ও সেহরীর আগে খেতে পারেন অথবা সন্ধ্যা রাতে খাবার খেলে তার আগেও খেতে পারেন।
বিশেষভাবে জানা প্রয়োজন
ডায়াবেটিক রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন। তবে ৩ মাস আগে থেকে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রস্তুতি নিতে হবে।
রোজার সময় নিজে ডায়াবেটিসের ওষুধ সমন্বয় করবেন না, এতে মারাত্মক পরিণতি হতে পারে।
সেহরীর খাবার সেহরীর শেষ সময়ের কিছু আগে খাওয়া উচিত। ইফতারের সময় বেশি চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না।
রোজার সময় দিনের বেলা অতিরিক্ত ব্যায়াম করা উচিত নয়। এতে হাইপোগøাইসেমিয়া হতে পারে।
রোজার সময় রাতের বেলা পর্যাপ্ত পরিমানে পানি (সম্ভব হলে ডাবের পানি), কম মিষ্টি রসালো ফল এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।
ষ ডা. শাহজাদা সেলিম
কমফোর্ট ডক্টর’স চেম্বার
১৬৫-১৬৬, গ্রীনরোড, ঢাকা
মোবাঃ ০১৭৩১৯৫৬০৩৩, ০১৫৫২৪৬৮৩৭৭, ০১৯১৯০০০০২২
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।