পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিদিনের রোজার শেষ বেলায় কুমিল্লার বিভিন্ন বাজার, হোটেল-রেস্তোরায় জমে ওঠে ইফতার বাজার। গত দুই বছর করোনার কারণে সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় নগরীতে জমে ওঠেনি ইফতার বেচাবিক্রি। এবারে করোনা প্রাদুর্ভাব কমে আসায় এবং আগের মতো সীমাবদ্ধতা না থাকায় কুমিল্লা নগরীর সব জায়গায় বাহারি ইফতারের সুগন্ধে তৈরি হওয়া ভিন্ন আমেজে মাতোয়ারা রোজাদাররা। তবে কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বাঙলা রেস্তোরা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবারেও ইরানী জিলাপীর স্বাদ থেকে বঞ্চিত নগরীর রোজাদাররা।
প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে নগরীর অভিজাত হোটেল-রেস্তোরাঁর হরেক রকম ইফতারের সুগন্ধে মাতোয়ারা রোজাদাররা ইফতার সামগ্রী কিনতে ভিড় করছে। রমজানে মাসব্যাপী ইফতার বিক্রির লক্ষ্যকে সামনে রেখে হোটেল রেস্তোরাগুলোর সাজ অন্য সময়ের থেকে আলাদা। নগরীর সবকটি হোটেল রেস্তোরায় রোজাদারদের জন্যে তৈরি করা হচ্ছে ইফতারের নানা মুখরোচক খাবার। রোজাদাররাও নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী আনন্দের সাথে ইফতার সামগ্রী কিনে নিচ্ছেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও নগরীর ইউরো কিং, আলিফ, রেড রুফ ইন, হোটেল ডায়না, হোটেল আমানিয়া, সিলভার ষ্পুন, রকস্টার, রুচিবিলাস, হোটেল সালাউদ্দিন, ক্যাফে আরব, হোটেল কাশ্মিরী, বারফি রেস্তোরাঁ, কিংফিশার রেস্তোরাঁ মুক্তাসহ আরও হোটেল রেস্তোরাঁর বিক্রয় কর্মীরা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সুস্বাদু রকমারি ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বেচাবিক্রিতে ব্যস্ত থাকছেন।
অভিজাত হোটেল রেস্তোরাঁ ছাড়াও নিউ মার্কেট, রানীবাজার, রাজগঞ্জ, টমছমব্রীজ, চকবাজার এলাকায় ছোট হোটেল, খোলা জায়গা, ফুটপাতে হরেক রকমের ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
নগরীর অভিজাত হোটেল রেস্তোরাঁয় এবারে ইফতারের রকমারি আইটেমের মধ্যে রয়েছে সবজিছোলা, আলু চপ, পিয়াজু, বেগুনি, পাকুড়া, ডিম চপ, কাটলেট, চিকেনটোষ্ট, তন্দুরী, ঝাল সমুচা, ফালুদা, বোরহানি, শাহী জিলাপি, মাশকলাই জিলাপী, চিকেন টিকিয়া, খাসী ও গরুর কাবাব, সুতি কাবাব, হালিম, বিরিয়ানি, চায়না জুসসহ হরেক রকম আইটেম।
নগরীর নিউমার্কেট রোডে হোটেল আমানিয়া থেকে ইফতার কিনতে আসা কুমিল্লা ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক সাংবাদিক মাহাবুব আলম বাবু জানান, সুস্বাদু ও সুগন্ধি অনেক রকমের ইফতার স্থান পেয়েছে। সাধ্য অনুযায়ী ইফতার কিনলাম। দাম যাই হোক, ইফতার কিনতে পেরে ভালই লাগছে। তবে মুখরোচক ইফতারের কাছে যেনো স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়টি উপেক্ষিত হয়ে না পড়ে এ বিষয়টির প্রতিটি হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক বা পরিচালকদের বেশি খেয়াল রাখতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।