রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : রয়েছে পর্যাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী, কিন্তু নেই পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষক ও বেঞ্চ। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীর জায়গা না হওয়ায় মাঝে মধ্যে বিদ্যালয় মাঠে ও গাছতলায় চলে বিদ্যালয়ের পাঠদান। ছোট একটি কক্ষেই চলে শিক্ষকদের দাপ্তরিক কার্যক্রম। এতেও নেই কোন আসবাবপত্র। ২০১৩ সালের ১ জুলাই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হলেও এখনো অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন হয়নি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে স্থানীয়দের অনুদান ও সরকারী মেরামতের সামান্য বরাদ্দের টাকা দিয়ে নির্মিত টিনশেড ঘরে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। গাদাগাদি করে ছোট তিনটি শ্রেণী কক্ষে চলে এ বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। বৃষ্টি হলেই বাধ্য হয়ে ছুটির ঘন্টা বাজাতে হয়। এমন জরাজীর্ণ অবস্থা নিয়ে চলছে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের বীরসিংহ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। দ্রæত বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের। স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষকরা জানান, এলাকার কিছু শিক্ষানুরাগী ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। অর্থ ও শিক্ষকের অভাবে এক সময় বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৯ সালে পূর্ণরায় বিদ্যালয়টিতে আবার নতুন শিক্ষক নিয়োগ করে স্থানীয় উদ্যোগে বিদ্যালয়টির পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াছমিন, সহকারী শিক্ষিকা পারভীন আক্তার, আনোয়ারা বেগম, পাপিয়া সুলতানা নিজস্ব অর্থায়নে ভবনের জন্য ৩৩ শতক জমি ক্রয় করে বিদ্যালয়ের নামে দান করেন। বর্তমান সরকার বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালের ১লা জুলাই জাতীয়করণ করে। বর্তমানে প্রাক প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ১১১ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন শিক্ষক আছে এ বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের ২ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে আর কোন বিদ্যালয় না থাকায় গ্রাম এলাকার দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা অনেক দূর দূরান্ত থেকে গিয়ে ওই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। বীরসিংহপাড়া গ্রামের দারিদ্র কোমলমতি শিশুদের এটিই একমাত্র ভরসা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, বিদ্যালয়টি অনেক জরাজীর্ণ। ছাত্র-ছাত্রীদের বসার প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নেই। টিনশেডের ছোট কক্ষে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করতে হচ্ছে। ভবন না থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য বাহারুল ইসলাম শাহাব উদ্দিন জানায়, আমাদের বিদ্যালয়টি সবচেয়ে অবহেলিত। এটি সরকারি হলেও কোনো পাকা শ্রেণিকক্ষ নেই। মাধবপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের নানান সমস্যার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। কিন্তু নতুন ভবন না আসা পর্যন্ত কষ্ট করতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন ভবন নির্মাণে সুপারিশ করা করা হয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।