নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অস্ট্রেলিয়া : ৫০ ওভারে ২৭৭/৯, ইংল্যান্ড : ৪০.২ ওভারে ২৪০/৬, ফল : ইংল্যান্ড ৪০ রানে জয়ী (বৃষ্টি আইনে)।
ইমামুল হাবীব বাপ্পি
‘বাঘকে সাহায্য করতে সিংহের ক্যাঙ্গারু শিকার!’
খেলা তখনও শেষ হয়নি, দ্বিতীয় দফায় বার্মিংহামে বৃষ্টির শঙ্কা। অস্ট্রেলিয়ার ২৭৭ রানের জবাবে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ৪ উইকেটে ২৪০ রান। খেলা বন্ধ হলেও মিস্টার ডাকওয়ার্থ ও লুইসের করা নিয়ম অনুযায়ী ৪০ রানে জিতে যাবে ইংল্যান্ড। এমন সময় উপরোক্ত মন্তব্যটি করলেন ক্রিকইনফোর লাইভ কমেনটেটর জগন্নাথ প্রসার। তার সাথে সুর মেলালেন তারই সহকর্মী হিমাংশু চন্দ্রও, বললেন, ‘ক্যাঙ্গারুকে বাঘের খাদ্যে পরিণত করল সিংহ।’
সত্যিই তাই! প্রকৃতির বাধায় এরপর বল গড়িয়েছে ৩টি। ঐ ৪০ রানেই জয়ী ঘোষণা করা হলো ইংল্যান্ডকে। যে জয় বাংলাদেশকে নিয়ে গেল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে। আইসিসির বড় কোন আসরে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন। গত বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল মাশরাফির দল। এতদিন সেটাই ছিল বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। সেমি নিশ্চিত হওয়ার পর ফেসবুক লাইভে মাশরাফি-সাকিব-মাহমুদুল্লাহরা একসাথে গেয়ে উঠলেন, ‘আমরা করব জয়...’।
বার্মিংহামের এজবাস্টনে উইকেট পড়ছে ইংল্যান্ডের, রক্তক্ষরণ হচ্ছে টাইগার সমর্থকদের হৃদয়ে! অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গতকাল যেন ইংল্যান্ড না, খেলছিল বাংলাদেশ। ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মর্গ্যান-স্টোকসের ১৫৯ রানের জুটিটা মনে করিয়ে দিল আগের দিন সাকিব-মাহমুদুল্লাহর গড়া ২২৪ রানের মহাকাব্যিক জুটিকে। ৮১ বলে ৫ ছক্কা ও ৮ চারে ইয়ন মর্গ্যানের ৮৭ রানের ইনিংসটা যেন সাকিবের যুদ্ধংমনা ১১৫ বলে ১১৪ রানের সেই ইনিংস। বেন স্টোকসের অপরাজিত সেঞ্চুরি উদযাপনটাও (১০৯ বলে ১১ চার ও ১ ছয়ে ১০২) মনে হল সিংহ নয়, মাহমুদুল্লাহর সেই ব্যাগ্র গর্জণ!
আসরে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে। গ্রæপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ এমন কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয় অজিদের। ্জন্য পুরো দ্বায় প্রকৃতির ঘাড়ে চাপাতে পারেন স্মিথরা। নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচ যে তারা শেষই করতে পারেনি বৃষ্টির বাধায়। আগত্য পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। শেষ ম্যাচে জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হত তাদের। কিন্তু পারল না বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ইংল্যান্ড খেলেছে সেমির আগে নিজেদের আরো ভালোভাবে প্রস্তুত করে নেয়ার মেজাজে। সাথে অদৃশ্য একটা লক্ষ্যও হয়তো ছিলÑ আগেভাগেই পথের কাঁটাকে দুর করা। দুর্দান্তভাবেই সেই কাজটি করল আসরের স্বাগতিকরা।
মর্গ্যান-স্টোকসদের আগে জয়ের ভিত গড়ে দেন মূলত বোলাররা। ৪০ ওভার শেষেও অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২২০। ফিঞ্চ (৬৫ বলে ৬৮) স্মিথরা (৭৭ বলে ৫৬) ফিরলেও ব্যাটে তখন ম্যাথু হেড (৬৪ বলে ৭১*) ও গেøন ম্যাক্সওয়েলরা। তিনশ পেরিয়ে নিরাপদ সংগ্রহেরই আভাস মিলছিল। কিন্তু দুশ্যপট পাল্টে দেন মার্ক উড ও আদিল রশিদ। দুজনেই নেন ৪টি করে উইকেট। অজি ইনিংস আটকে যায় ৯ উইকেটে ২৭৭ রানে।
বাংলাদেশের সেমির স্বপ্ন উজ্জ্বল হতে থাকে তখনই। কিন্তু ইংলিশ ইনিংস শুরু না হতেই আশার সলতেয় লাগে ঝড়ো বাতাস। ৩৫ রানেই নেই ইংল্যান্ডের ৩ উইকেট। এরপরই তো সেই স্টোকস-মর্গ্যানের সাকিব-মাহমুদুল্লাহ হয়ে ওঠা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।