রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে
হঠাৎই গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে বেকায়দায় পড়েছে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের ডেইরী খামারীরা। বর্ধিত মুল্যে গোখাদ্য কিনে ঠিকমত খাবার দিতে না পারায় দুধ উৎপাদনও কমে গেছে। অনেকেই দুধেল গাভীকে তুলে দিচ্ছে কসাইদের ছুরির নিচে !
খামারীরা অভিযোগ করেছে , এমনিতেই ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি ও দুষ্প্রাপ্যতার কারণে তারা ডেইরী ফার্ম বা দুধের খামার ঠিকমত চালাতে পারছিলেননা। তারপর মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে হঠ্ৎাই বেড়ে গেছে গোখাদ্যের দাম। একাধিক বার প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পদক প্রাপ্ত বগুড়ার দুগ্ধ খামারী সামসুল আবেদীন সবুর জানান, হঠাৎ করে আটা ময়দা ও ভুট্টার আটা প্রস্তুতকারক মিল মালিকরা ভুষির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন , গতমাসেই ৩৭ কেজির এক বস্তা গমের ভুষির মূল্য ছিল ৯শ টাকা। কিন্তু রমজান মাস শুরুর সাথে সাথেই ওই পরিমান এক বস্তা ভুষির দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২শ টাকা। ৫০ কেজি ওজনের যে ভুট্টার ভুষির বস্তা ছিল ৯শ টাকা তা বেড়ে হয়েছে ১১শ টাকা। শুধু গম বা ভুট্টার ভুষিই নয় ছোলা , মুগ , মশুর ও খেসারী ডালের ভুষির দামও বস্তা প্রতি বেড়েছে ২শ থেকে ৩শ টাকা। একই সাথে বেড়েছে খৈল” এর দাম। পাশাপাশি বেড়েছে খড়ের দাম। ১৫ দিন আগেও যে খড়ের আটি পাওয়া যেত ২ টাকা পিস , তা বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা।
এদিকে হঠাৎ করে গোখাদ্যের এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আটা ময়দার মিল মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রমজান মাসে আটা ময়দার বিক্রি কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। পাশাপাশি ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লোডশেডিং এর কারণেও মিলে লস হচ্ছে। ফলে ভুষির দাম বাড়িয়ে তারা ক্ষতি পুষিয়ে নেয়াকে স্বাভাবিক বলে মনে করছে। এক্ষেত্রে মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করেছে বলেও অনেকে স্বীকার করেছেন ইনকিলাবের কাছে। মিল মালিকরা বুঝেছে মানুষ আটা ময়দা ছাড়া চলতে পারলেও গো-খামারীরা তাদের পশুকে না খাইয়ে রাখতে পারবেনা। ঠিক একই গ্রাউন্ড থেকে অর্থাৎ সরিষার তেল বিক্রির পরিমান কমে যাওয়াকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে খৈল এর দামও বাড়িয়েছে তেলকল মালিকরা। আর খড়ের দামের যৌক্তিক কারণ হল এবার অকাল বর্ষণ ও লেটবøাইট রোগের প্রকোপে ধানের পাশাপাশি খড়েরও ক্ষতি হয়েছে। সংগত কারণেই সৃষ্ট সঙ্কটে বেড়েছে খড়ের দাম।
পশুসম্পদ বিভাগের একাধিক সূত্রে জানা যায় , বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে গত ক’বছরে যে হারে গবাদী পশুর খামার গড়ে উঠেছিল , বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে এখন অনেকগুলোই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যা ’ উদ্বেগজনক। অন্যদিকে বেশ কয়েকটি এনজিওর গবেষণা সারপত্র সূত্রে জানা যায় , পোল্ট্রি - হ্যাচারী- ফিশিং ও গবাদী পশুর খামার গুলোর সুরক্ষায় সরকার উদ্যোগী হলে উত্তরাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতির চেহারাই পাল্টে যাবে। গবেষণা সারপত্রে বিশেষভাবে বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ এবং বিলের সাবসিডি সুবিধা খুবই জরুরী। এছাড়াও পোল্ট্রি ,হ্যাচারী এবং গবাদী পশুর খামার গুলোতে সোলার প্যানেল সুবিধা দেয়া হলে রক্ষা পাবে এই সেক্টর। যেখানে হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।