Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদারীপুরে দেশি গরু নিয়ে বিপাকে খামারিরা

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০২১, ১২:০৫ এএম

আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মাদারীপুরের খামারিরা দেশীয় পদ্ধতিতে উৎপাদিত গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

করোনার জন্য চলমান লকডাউনের কারণে গরুর খাদ্য থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বেশি থাকায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
গরু বিক্রি নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন খামারিরা। জেলায় ১০টি হাট বসলেও অনলাইনে গরু বিক্রিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসন।
রাজৈর উপজেলার বদরপাশা গ্রামের এম. এ. রশিদ আজাদ জানান, তার আদর্শ পশুপালন কেন্দ্রে ৮৩টি গরু আছে। সম্পূর্ণ সবুজ ঘাস খাওয়ানো হয় গরুদের।
খামারের পাশেই সাড়ে সাত বিঘা জমির উপর নিপিয়ার ঘাস লাগানো হয়েছে। গরু প্রতি প্রতিদিন প্রায় ২শ’ টাকা খরচ হয়। প্রতিদিন প্রায় ১৬ হাজার টাকা খরচ এই খামারে। কোরবানির ঈদে যদি গরু বিক্রি করতে না পারে তাহলে শ্রমিকদের বেতন ও স্থানীয়ভাবে নেয়া ঋণ দিতেই হিমশিম খেতে হবে। শুধু রশিদ আজাদ নয়, তার মতো একই অবস্থা মাদারীপুরের ছোট বড় ২ হাজার ৯৮টি খামার মালিকের। কিছু কিছু খামারিরা অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা করেছে।
অনেক খামারি আবার লাইভ ওয়েটের মাধ্যমে গরু বিক্রি করছে। এক এক খামারি এক এক রকমের সুযোগ সুবিধা দিয়ে গরু বিক্রির চেষ্টা করছে।
সঠিক মূল্যে গরু বিক্রি করতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তাদের।
মাদারীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ. কে. এম আনোয়ারুল হক বলেন, এ বছর জেলায় কোরবানির জন্য ৩৪ হাজার ১২৫টি পশুর চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ৩৬ হাজার ২৩৫টি পশু। মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, জেলায় গরুর চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে।
আর চাহিদার অর্ধেকের বেশি। অনলাইনে খামারিদের পশু বেচা-কেনার পরামর্শ দেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিপাকে খামারিরা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ