Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্থাপনা ও বাড়িঘর উচ্ছেদে নরসিংদী পৌর কর্তৃপক্ষের ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

শহর রক্ষা বাধেঁর উপর রাস্তা নির্মাণ

| প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : নরসিংদী শহর রক্ষা বাঁধের পাশে রাস্তা নির্মাণের জন্য বেআইনীভাবে বিভিন্ন পাকা স্থাপনাসহ বাড়ীঘর উচ্ছেদের উপর ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞাসহ রুলনিশি জারি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া ও জহিরুল ইসলাম গং দাখিলকৃত রীট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাস সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ নরসিংদী পৌর মেয়রসহ ৭ জনের উপর এই নিষেধাজ্ঞা ও রুলনিশি জারী করেছেন।অন্যান্য বিবাদীদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব, নরসিংদী জেলা প্রশাসক, নরসিংদী পুলিশ সুপার, পৌর মেয়রের প্রতিনিধি, নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড, নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী।
হাইকোর্ট বেঞ্চ বিবাদীদেরকে কারন দর্শানোর জন্য ৪ সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে নরসিংদীর হাড়িধোয়া নদী ও মেঘনা নদীর তীরে নির্মিত হয় নরসিংদী শহর রক্ষা বাধ। এই শহর রক্ষা বাধের মুল পরিকল্পনায় কোন রাস্তা নির্মাণের স্থান রাখা হয়নি। স¤প্রতি নরসিংদীর পানি উন্নয়ন বোর্ড শহর রক্ষা বাধের পাশে ৬ কোটিরও বেশী টাকা ব্যায়ে একটি রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে টেন্ডার আহবানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নরসিংদী পৌর কর্তৃপক্ষ রাস্তা নির্মাণের উপযোগী করার জন্য বাধের পাশে বিভিন্ন স্থাপনা ও বাড়ীঘর উচ্ছেদ অভিযান চালাতে থাকে। এই  অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থ শহরবাসী নরসিংদী পৌর কর্তৃপক্ষকে জানায় যে, এই স্থাপনা ও বাড়ীঘরগুলো তাদের নিজস্ব মালিকানাধীন এবং নিজস্ব ভূ-সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। এরপরও পৌর কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বিনা নোটিশে ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূ-সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করতে থাকে। এই অবস্থায় তারা নরসিংদী জেলা প্রশাসকের নিকট এক অভিযোগপত্রেও ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা থেকে বিনা অধিগ্রহণ ও বিনা নোটিশে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। কিন্তু জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে কোন প্রকার সাড়া না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ বাদী মোস্তাক আহমেদ ও জহিরুল হক গং পৃথক পৃথকভাবে হাইকোর্টে দুটি রীট পিটিশন দাখিল করে। এই রীট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে বাদী পক্ষের শুনানী শেষে গত ৭ মে হাইকোর্ট বেঞ্চ নিষেধাজ্ঞা ও রুলনিশি জারী করেন।
এব্যাপারে নরসিংদী পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান যে, তারা কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় নি। জনস্বার্থে রাস্তা নির্মাণের জন্য অবৈধ দখলদারীদেরকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তাছাড়া ব্যক্তিমালিকা দাবীকারীরা তাদের নকশা, পর্চা অনুযায়ী নির্ধারিত অবস্থানে না থেকে নদীপাড়ের জায়গা দখল করে রেখেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্থাপনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ