পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পঞ্চায়েত হাবিব : প্রশাসনিক কাজের গতি বাড়াতে বড় মন্ত্রণালয়গুলো দুই ভাগে ভাগ করা হলেও কর্মকর্তাদের বসার জায়গা দিচ্ছে পারছে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শিক্ষা, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে দুইভাগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি বিভাগের একজন করে সচিব পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এসব মন্ত্রণালয়ে পর্যাপ্ত রুম না থাকায় বসতে পারছেন না কর্মকর্তারা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রশাসনের প্রাণ কেন্দ্র সচিবালয়ে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব, উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কক্ষে কোনো মতে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক বছর আগেও যেসব কক্ষে সহকারী সচিব বা সিনিয়র সহকারী সচিবরা বসতেন, সেসব কক্ষে এখন বসছেন উপ-সচিব ও যুগ্ম-সচিবরা। প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা ব্যক্তিগত সহকারীরা যেসব কক্ষে বসতেন, সেখানে বসছেন সিনিয়র সহকারী সচিবরা। অনেক কক্ষে একই চেয়ারে পালাক্রমে দুজন করে কর্মকর্তা বসছেন।
জানা গেছে, এক বছর আগে সরকারি দফতরগুলোকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে নতুন করে ঢেলে সাজানো শুরু করে সরকার। এর অংশ হিসেবে শিক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথমে ভাগ করে চারটি বিভাগ করা হয়েছে। সচিবালয় সূত্র জানায়, পর্যায়ক্রমে আরো অনেক মন্ত্রণালয়ও ভাগ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিভাজন করে প্রথমে তিনটি বিভাগ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তব প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আপাতত দুটি বিভাগ করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ। এই দুই বিভাগের দায়িত্বে নিয়োগ দেয়া হয়েছে দুই জন সচিবকে। ইতোমধ্যে সচিবালয়ের বাইরে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগকে দেয়া হয়েছে পরিবহণ পুল ভবনে। এ দুই মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, উপসচিব এবং সহকারী সচিব পদ শুন্য থাকলে বসার জায়গা না থাকার কারণে জনবল নিয়োগ দিতে পারছে না জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুটি বিভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো, জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পরিচালনা ও তদারকির জন্য কাজ করবে একটি বিভাগ। আর রাজনৈতিক বিষয় ছাড়াও অন্য বিভাগ পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, পাসপোর্ট অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে দুই বিভাগেই দু›জন সচিব দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়কেও ভাগ করে দুটি বিভাগ করা হয়েছে। একটি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ অন্যটি হচ্ছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত সবকিছু থাকবে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে। স্বরাষ্ট্রসহ প্রায় সব মন্ত্রণালয়েই কাচের তৈরি ছোট ছোট টিকিট কাউন্টারের মতো ঘরে বসছেন উপ-সচিবরা। যুগ্ম-সচিব হিসেবে যোগদানকারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বসার ব্যবস্থা হয়েছে একজন সিনিয়র সহকারী সচিবের জন্য নির্ধারিত কক্ষে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপসচিব বলেন, আমাদের অবস্থা খুবই করুণ। মাঠ প্রশাসনে যারা আছেন তারা আমাদের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। বসার রুম আছে, গাড়ি আছে এবং বাসাও আছে। আর আমরা যারা উপ-সচিব হিসেবে সচিবালয়ে কাজ করছি, তাদের তেমন কিছুই নেই। কোনোভাবে একটি চেয়ার- টেবিল আছে। গাড়িও নেই, বাসাও নেই। তিনি বলেন, কোনোভাবে বসার একটা জায়গা পেয়েছি, তাতেই খুশি। অনেকে তো বসার জায়গাও পাচ্ছেন না।
পাশাপাশি স্থানীয় সরকার বিভাগ আবারো ভাগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। কারণ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের পরিধি বাড়ায় শুধুমাত্র একটি বিভাগ দিয়ে কাজ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। এজন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা ও তদারকির জন্য একটি বিভাগ করা হবে। আর এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট দফতর পরিচালনায় থাকবে অন্য বিভাগ। ওই বিভাগের আলাদা একজন সচিব থাকবেন। এর সাংগঠনিক কাঠামোও হবে আলাদা। জনপ্রাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান ইনকিলাবকে বলেন, প্রশাসনিক কাজের গতি বাড়াতে বড় মন্ত্রণালয়গুলো দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এসব মন্ত্রণালয় দুইভাগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের বসার জয়গা সংকট থাকলে তাদের বসার ব্যবস্থা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।