বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে চুরি যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে ফিলিপিন্সে চলে যাওয়া দেড় কোটি ডলার আনতে ম্যানিলা পৌঁছেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি দল। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র প্রতিনিধি দলের ম্যানিলায় অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এ ব্যাপারে জানতে ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। রয়টার্সের খবরে এসব কথা বলা হয়েছ। ফিলিপিন্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ জানিয়েছেন, দেশটির একটি ক্যাসিনোর মালিক কিম অং এবং তার ইস্টার্ন হাওয়াই লেজার কোম্পানির ফেরত দেয়া দেড় কোটি ডলার বর্তমানে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে গচ্ছিত রয়েছে। ক্যাসিনো মালিক অং দুই দফায় এক কোটি ডলারের বেশি ফেরত দেন, যা তিনি দুইজন চীনা জুয়াড়ির কাছ থেকে নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। গত সপ্তাহে ফেরত পাওয়া অর্থ গণনা করার সময় উপস্থিত ছিলেন গোমেজ।
রাষ্ট্রদূত গোমেজ বলেন, আদালতের মাধ্যমে অর্থ ফেরত দেয়ার বিষয়টি এরই মধ্যে সুরাহা হয়ে গেছে। আশার কথা হচ্ছে, এই দেড় কোটি ডলার পুনরুদ্ধার শেষের পথে। আমরা এখন অবশিষ্ট অর্থ উদ্ধারে এগোবো। গত সেপ্টেম্বরে ফিলিপিন্সের আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকে দেড় কোটি ডলারের মালিক উল্লেখ করে তা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়। এরপরই অর্থ ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার সরানোর চেষ্টা হয়। এর মধ্যে চারটি মেসেজের মাধ্যমে ফিলিপিন্সের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকে (আরসিবিসি) সরিয়ে নেয়া হয় ৮১ মিলিয়ন ডলার। আর একটি মেসেজের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। রিজল ব্যাংকে যাওয়া টাকার একটি বড় অংশ পরে ফিলিপিন্সের জুয়ার টেবিলে চলে যায়। এর মধ্যে ক্যাসিনো মালিকের ফেরত দেয়া দেড় কোটি ডলার পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করতে অগাস্টে ম্যানিলা গিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি দল। এ বিষয়ে ফিলিপিন্সের আদালতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করা রিকার্ডো ভি পারাসও কোনো মন্তব্য করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।