Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রিজার্ভ চুরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত : ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন

প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩৩ পিএম, ৩০ মে, ২০১৬

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন বলেছেন, রিজার্ভের অর্থ চুরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। প্রতিবেদনে জড়িতদের বিষয়ে উঠে এসেছে। তবে এ বিষয়ে এখনি কিছু বলা ঠিক হবে না। সরকার আগে বিষয়টি দেখবে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় সুইফট-এরও দায় আছে। এছাড়া চুরি যাওয়া কত টাকা ফেরত আনা সম্ভব এ বিষয়েও একটি ধারণা দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।
পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ৭৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল। আজ ৭৫তম দিন। প্রতিবেদনের বিষয়ে আমি সন্তুষ্ট। প্রতিবেদন প্রণয়নের ক্ষেত্রে ‘কোনো চাপ ছিল না’ বলেও জানান তিনি। গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে প্রদান করার পর তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে প্রায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন যে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছিল, এর প্রায় ৯০ ভাগ পরিবর্তন হয়েছে। তাড়াহুড়ো করে প্রতিবেদন দেয়ায় এমনটি হয়েছে। এ ছাড়া তদন্তে বুয়েটের আরও তিন শিক্ষকের কাছে কারিগরি বিষয়ক সহায়তা নেয়ার কারণে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছেÑ বলে জানান তিনি।
পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আগামী ২ জুন বাজেট ঘোষণার ১৫ থেকে ২০ দিন পর এটি প্রকাশ করা হবে বলে জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ৭ বছরে প্রকাশিত অন্যান্য প্রতিবেদনের মতো এটি অবশ্যই প্রকাশ করবে সরকার। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নেরও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
গতকাল তদন্ত কমিটির প্রধান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন অর্থমন্ত্রীর কাছে এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। কমিটির অপর দুই সদস্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত সচিব গকুল চাঁদ দাস ও বুয়েটের প্রফেসর মোহাম্মদ কায়কোবাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ২০ এপ্রিল অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল কমিটি।
এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি মাত্র প্রতিবেদনটি পেলাম। এখনো দেখি নাই এতে কী আছে। আমি আগে পড়ে দেখি, তারপর অবশ্যই এটি প্রকাশ করা হবে। ‘ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না’- এ প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, আমি আগে দেখি ঘটনাটা কীভাবে ঘটল এবং আমি কী করতে পারি?
রিজার্ভ চুরি যাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউরকে সরে যেতে হয়। এছাড়াও সাময়িক বরখাস্ত বা ওএসডি হতে হয় কয়েকজনকে। নতুন গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাবেক অর্থ সচিব ফজলে কবির। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরির ঘটনা তদন্তে ড. ফরাসউদ্দিনকে আহবায়ক করে ১৫ মার্চ ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। প্রায় ১ মাস পর ২০ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর বড় অংশই চলে গেছে ফিলিপিন্সের বিভিন্ন ক্যাসিনোতে।

 



 

Show all comments
  • Rajuan Kharim ৩১ মে, ২০১৬, ১২:০৯ পিএম says : 0
    এতো লুকোচুরি না করে কে কে জড়িত তাদের বিচার হোক, আমাদের টাকা ফিরিয়ে আনা হোক
    Total Reply(0) Reply
  • ইমতিয়াজ ৩১ মে, ২০১৬, ১২:৫৩ পিএম says : 0
    তদন্তের দায়িত্ব দেয়ার আর লোক পেলেন না
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজার্ভ চুরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত : ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ