Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মনপুরায় টর্ণেডোর আঘাতে অর্ধশতাধিক ঘরববাড়ি বিধ্বস্ত খোলা আকাশের নিচে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার

| প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এম এ বারী, ভোলা : ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রচন্ড ঝড় ও হঠাৎ টর্ণোডোর আঘাতে মসজিদসহ অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে বহু গাছপালা উপড়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার হাজির হাট ইউনিয়নের চরযতিন ও সোনারচর গ্রামের সবচেয়ে বেশী ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা”র প্রভাব কাটতে না কাটতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ টর্ণোডোর আঘাতে মনপুরা উপজেলার ২ নাম্বার হাজির হাট ইউনিয়নের চরযতিন গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আ: গফুর মিয়া, আ: রব, মো: মিজান, সোনারচর গ্রামের রিপন চন্দ্র দাস, কর্তাচন্দ্র দাস ও ঢালচরের মোঃ মহিউদ্দিনের ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। চরযতিন গ্রামের মহিমা বেগম, হাজেরা বেগম, কর্তাচন্দ্র দাস, লিপস চন্দ্র দস, চরজ্ঞানের মো: রফিকের ঘরের চালের টিন ও টিনের বেড়া উড়িয়ে নিয়ে গেছে। উড়িয়ে নিয়ে গেছে উত্তর চরযতিন জামে মসজিদের চালের টিন। গাছপালা ছিড়ে ও উপড়ে গেছে। গাছ পড়ে অধিকাংশ ঘর নষ্ট হয়ে গেছে।
চরযতিন গ্রামের আ: গফুর মিয়া, সোনার চরের রিপন চন্দ্র দাস বলেন, আমরা ঘুমে ছিলাম। হঠাৎ বজ্রপাতের শব্দে গুম ভেঙে যায়। ঝড়-বাতাস ছাড়ছে। প্রচন্ড বাতাসে আমাদের ঘরের সম্পূর্ণ চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে আমাদের ঘরের চাউল থেকে শুরু করে সকল মালামাল ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা সারারাত ঘরের কোনে বসে কাটিয়েছি। সকালে দেখতে পাই টিনের চালাগুলো পুকুর পাড়ে পড়ে আছে। আমাদের সহায় সম্বল যা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। আমরা এখন কি দিয়া নতুন করে ঘর তুলমু। পোলাইন-ছাইন (ছেলে-মেয়েগো) কই রাখমু? এভাবেই প্রশ্ন তুলছেন টর্ণেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন।
কলাতলী চরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ছালাহউদ্দিন জানান, হঠাৎ ঝড় ও টর্ণেডোর আঘাতে চরের অধিকাংশ ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সোহাগ হাওলাদার বলেন, টর্ণেডোর আঘাতে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে আর্থিক সহযোগীতার ব্যবস্থা নিবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিধ্বস্ত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ