পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে প্রদান করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ১১তম কার্যদিবসে আপিল শুনানি শেষে মামলাটি সিএভি রাখেন। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন করেছেন।
দিনের শুরুতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বক্তব্য রাখেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষে রিটের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ তার পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বেলা সোয়া ১টার দিকে মামলাটি সিএভি রাখেন আদালত।
গত ৩০ মে দশম দিনের আপিল শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরিদের মতামত প্রদান শেষ হয়। মোট ১০ জন অ্যামিকাস কিউরি আদালতে মতামত দিয়েছেন। যার মধ্যে নয়জনই ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে মতামত দেন। শুধু মাত্র একজন অ্যামিকাস কিউরি ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে নয় মর্মে তার মতামত দেন।
গত ৮ ফেব্রæয়ারি এই মামলার আপিল শুনানিতে সহায়তার জন্য আদালত ১২ জন সিনিয়র আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ১২ জনের মধ্যে ১০ জন আদালতে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন। অ্যামিকাস কিউরি নিযুক্ত হলেও ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ মতামত দেননি। বক্তব্য প্রদান করা ১০ জনের মধ্যে শুধু একজন অ্যামিকাস কিউরি ষোড়শ সংশোধনী রাখার পক্ষে মত দেন। বাকিরা এই সংশোধনী বাতিলের পক্ষে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেন।
গত ২৪ মে এই মামলায় অ্যামিকাস কিউরিদের বক্তব্য প্রদান শুরু হয়, যা গত মঙ্গলবার শেষ হয়। অ্যামিকাস কিউরিদের বাইরে আদালতের অনুমতি নিয়ে সাবেক আইন মন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু বক্তব্য রাখেন। তিনি হাইকোর্টের রায়ে সংসদ সদস্যদের সম্পর্কে থাকা কিছু বিরূপ মন্তব্য প্রত্যাহারে আদালতের কাছে আর্জি রাখেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য বৃহস্পতিবার দিন নির্ধারিত হয়েছিল।
এর আগে গত ৮ মে পেপার বুক থেকে রায় পড়ার মাধ্যমে এই মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। ৯ মে দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি হয়। এ দুদিন রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা হাইকোর্টের রায় আদালতে পড়ে শোনান। ২১ মে তৃতীয় দিনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের লিখিত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে এই মামলার শুনানি হয়। গতকাল ১১তম কার্যদিবসে এসে সেই শুনানি সমাপ্ত হলো। বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পুনরায় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস করা হয়। এরপর তা ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশ পায়। এ অবস্থায় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর নয়জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
এ আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে গত ৫মে আদালত সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের মতামতের ভিত্তিতে ১৬তম সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেন। তিন বিচারকের মধ্যে একজন রিট আবেদনটি খারিজ করেন। এর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠদের রায় প্রকাশিত হয় গত ১১ আগস্ট এবং রিট খারিজ করে দেয়া বিচারকের রায় প্রকাশিত হয় ৮ সেপ্টেম্বর। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।