পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলের বরাদ্দ ৪ হাজার কোটি বেড়ে ১৬ হাজার ১৩ কোটি টাকা
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে রেলপথ খাতে মোট ১৬ হাজার ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব করেন তিনি।
প্রস্তাবিত বাজেটের মোট বরাদ্দের ৪ শতাংশ চাওয়া হয়েছে রেলের জন্য। রেল খাতে মোট বরাদ্দের মধ্যে শুধু উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ৩ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে, কমানো হয়েছে অনুন্নয় খাতের ব্যয়। আগামী অর্থবছরের জন্য রেলের অনুন্নয়ন খাতে ৩ হাজার ১২ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ১৩ হাজার ১ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রেল খাতে মোট ১১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এর মধ্যে অনুন্নয়ন খাতে ২ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ৯ হাজার ১১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। এই হিসাবে এবারে রেলে বরাদ্দ ৪ হাজার ৬৩ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে রেল খাতে মোট ব্যয় দেখানো হয়েছে ১১ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুন্নয়ন খাতে ২ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ৯ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে রেলপথের গুরুত্ব বিবেচনায় রেলপথের নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও স¤প্রসারণে আমরা কাজ করছি। এর অংশ হিসেবে দোহাজারী-কক্সবাজার-গুনদুম, কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া, পাঁচুরিয়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা, ঈশ্বরদী-পাবনা-ঢালারচর এবং খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ/পুনঃনির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, উদ্বোধনের দিন হতে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে রেল সার্ভিস চালু করার লক্ষ্যে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-নড়াইল-যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কি.মি. রেল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছি। অর্থমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দরের সাথে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন হতে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প আমরা গ্রহণ করেছি। এছাড়া, রোলিং স্টক ব্যবস্থার উন্নয়নে ১০০টি এমজি লোকোমোটিভ, ৫৫০টি এমজি এবং ১৫০টি বিজি যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহের কার্যক্রমও আমরা ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছি।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে করিডোরকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। জাইকা অর্থায়নে যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে ১টি রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ ইতোমধ্যে আমরা গ্রহণ করেছি। এছাড়াও, ভারতীয় রাষ্ট্রীয় ঋণের আওতায় খুলনা-দর্শনা সেকশন ডাবল লাইনে উন্নীত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আখাউড়া-সিলেট সেকশনে ডাবল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।