পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সাধারণ করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা আগামী অর্থবছরেও আগের মতোই আড়াই লাখ টাকা থাকছে। তবে প্রতিবন্ধী করদাতাদের ক্ষেত্রে খানিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন, তাতে তিনি এই প্রস্তাব করেছেন। নতুন অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা একই রাখার প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী করায় যাদের বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার কম, আগের মতোই তাদের কোনো কর দিতে হবে না।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়। পরের বছর তা একই রাখা হয়।
বজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী করমুক্ত আয়সীমা একই রাখার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেন, “বাংলাদেশে করমুক্ত আয়ের সীমা মাথাপিছু আয়ের ২শ শতাংশের বেশি। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ অনুপাত ১০০ শতাংশের মধ্যে থাকে। এ ছাড়া আমাদের মুদ্রাস্ফীতিও এ মুহূর্তে কম, পাঁচ শতাংশের মতো।
“ফলে আগামী বছরে করমুক্ত আয়ের সাধারণ সীমা ও করহারে কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না।”
এক্ষেত্রে নারী ও প্রবীণ (৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে) করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা আগের মতো তিন লাখ টাকা থাকছে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদেরও করমুক্ত সীমা থাকছে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার স্থলে ৪ লক্ষ টাকা প্রস্তাব করছি।”
প্রতিবন্ধীদের পাশাপাশি তাদের বাবা-মা বা আইনানুগ অভিভাবকদের করমুক্ত আয়সীমাও ২৫ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। করমুক্ত আয়সীমা নির্ধারণে বিতর্ক অবসানে একটি নীতিগত দর্শন থাকা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন মুহিত।
তিনি বলেন, “মাথাপিছু আয়ের অনুপাত ও মূল্যস্ফীতি-এ দুটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে করমুক্ত আয়ের সীমা নির্ধারিত হতে পারে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।