Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গণভবন এলাকায় নিজ অস্ত্রের গুলিতে এপিবিএন সদস্যের মৃত্যু

পুলিশ সদর দপ্তর ও এপিবিএন-এর পৃথক তদন্ত কমিটি

| প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন গণভবন এলাকায় নিজের অস্ত্রের গুলিতে নিহত হয়েছেন কর্তব্যরত স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রকেটশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) নায়েক আতিকুর রহমান (২৮)। এটি আত্মহত্যা নাকি অসাবধানতাবশত তা নিশ্চিত হতে তার আগ্নেয়াস্ত্রটি পরীক্ষার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, ময়নাতদন্তের পর নিহতের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে পুলিশ সদর দফতর তিন সদস্যের এবং এসপিবিএন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি জি বিশ্বাস বলেন, আতিক তার নিজের অস্ত্রের গুলিতেই নিহত হয়েছে। এখন আমরা তদন্ত করে দেখব, এটি আত্মহত্যা, নাকি অসাবধানতবশত।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (২৬ মে) রাত পৌনে ১২ টার দিকে গণভবনের উত্তর গেটের (মসজিদ সংলগ্ন) এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয় কর্তব্যরত এপিবিএন সদস্য আতিকুর। এ সময় তার ১০/১২গজ পেছনে আরও এক এএসআই ছিলেন। তিনি আতিকুরকে দ্রæত উদ্ধার করে অন্যদের সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে যান। ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত পৌনে ২ টার দিকে নায়েক আতিকুর রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঢামেক পুলিশ বক্সের এএসআই বাবুল মিয়া জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আতিকুরকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন শেরেবাংলা নগর থানার এসআই মিনহাজ উদ্দিন।
গতকাল শনিবার দুপুরে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের সহোযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, গুলিতে নিহত হয়েছেন আতিকুর। গুলি সামনে দিয়ে ঢুকে পেছন দিক দিয়ে বের হয়ে যায়। নিহতের ভাই মাহমুদুল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তার লাশ নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। সেখানেই দাফন করা হবে। পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করছে।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জি জি বিশ্বাস জানান, ময়নাতদন্তের পর নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তার সঙ্গে আরও একজন এএসআই ছিলেন। সার্বিক পরিস্থিতি ও ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করে আমরা  প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি, নিজের অস্ত্রের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে। এখানে অন্য আর কোনও কারণ নেই। এখন দেখার বিষয় হলো, এটি আত্মহত্যা নাকি অসাবধানতবশত। এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা আতিকের অস্ত্রটি সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়েছি। ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছিল তা নিশ্চিত হতে পারব অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর।
এসপিবিএন-২-এর কমান্ডিং অফিসার ইকবাল হোসেন বলেন, এই ঘটনায় দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি পুলিশ সদর দফতরের কমিটিতে রয়েছি। আমাদের এসপিবিএন থেকেও একটি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটিতে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পাঁচজন রয়েছেন। তারা তদন্ত শুরু করছেন। তবে পুলিশ সদর দফতরের কমিটি এখনও কাজ শুরু করেনি।  তিনি বলেন,  তদন্তনাধীন বিষয় নিয়ে এখন আসলে কোনও কিছু বলা ঠিক হবে না। যারা তদন্ত করছেন, তাদের তদন্ত শেষ হোক। আশা করছি দুই দিনের মধ্যেই আমরা রিপোর্ট পাব।
নিহত আতিকের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চরকিং গ্রামে। তার বাবার নাম মো. বাহার। মা সুফিয়া বেগম।  স্ত্রীর নাম শারমীন আক্তার। এক মাত্র মেয়ে তিসির বয়স রদড় বছর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ

৩ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ