বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1719992626](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তিনজনসহ দশজন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যার্থ হয়ে অবশেষে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গত বুধবার সকাল থেকেই শিরোইল বাস টার্মিনাল প্রাঙ্গনে এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে দশটি পদে ষাটজন প্রতিদ্বন্দি ছিলেন। আর ভোটার সংখ্যাও ছিল প্রায় সাড়ে তিন হাজার। উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে ভোট শুরু হলেও বিপত্তি বাধে ভোট গণনার সময়। ভোর তিনটার দিকে ভোট গণনার সময় একটি পক্ষ হঠাৎ করে হামলা করে। এসময় তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়। এক পর্যায়ে তারা ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় থেমে থেমে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। ভোর চারটা থেকে শ্রমিকদের দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহানগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
ভোরে সংঘর্ষের সময় তিন নির্বাচন কমিশনার ও সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয় সাংবাদিকের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন। ছিনতাই করা হয় ব্যালট পেপার। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন খান বলেন, ভোট গণনা শুরুর আগেই শ্রমিকদের একটি পক্ষ কেন্দ্রে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় অপরপক্ষ বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অঙ্কুর সেনসহ তিন কমিশনার আহত হন। পরে পুলিশ তিন নির্বাচন কমিশনারকে উদ্ধার করে।
শ্রমিকরা জানান, ব্যালট পেপার বাছাই শেষ হয় ভোর চারটার দিকে। বাছাইয়ের পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কারা নির্বাচিত হচ্ছেন তা অনেকটায় নিশ্চিত হন প্রার্থীরা। আর এতেই বিপত্তি বাধে। নির্বাচনে সভাপতি ও সেক্রেটারী সরকারী দলের হলেও তাদের মধ্যে ছিল ঠান্ডা লড়াই। এর লড়াইয়ের বহি:প্রকাশ ঘটে ভোট গণনার সময়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষ ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুরো টার্মিনাল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্র স্থলে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিল। তাদের উপস্থিতিতেই উভয়পক্ষ অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেও পুলিশ প্রাথমিক পর্যায়ে নি®ীŒয় থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিআরটিসি কাউন্টার, বাস ও ন্যাশনাল ট্রাভেলসের কাউন্টার ভাঙচুর করেছে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। এক পর্য্যায়ে বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখনও টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।