পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের মানুষ নারী নেতৃত্বের পরিবর্তন চায় দাবি করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘নারী নেতৃত্বের প্রভাবে সমাজ আজ ধ্বংসের মুখে।
নারী নেতৃত্ব দিয়ে সমাজকে রক্ষা করা যাবে না। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নৈতিকতা বিবর্জিত সমাজ ব্যবস্থাই সকল সন্ত্রাসের জন্মদাতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, খুন-ধর্ষণ করে অপরাধীরা মাথা উঁচু করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থা থেকে সমাজকে রক্ষায় ইসলামের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। সামাজিক অবক্ষয় রোধে ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, দুই নেত্রীর কার্যকলাপে মানুষ এখন রাজনীতিবিদদের সম্মান করে না। কিন্তু ওলামায়ে কেরামদের সম্মান বিশ্বজুড়ে। তাই রাজনীতি সুষ্ঠু ধারায় ফিরিয়ে আনতে দেশের আলেমদের এগিয়ে আসতে হবে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের পথে। শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছে, আর ছাত্ররা পিছনে বসে ইন্টারনেটে পর্ণ ছবি দেখছে। খুনীরা আজ বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ধর্ষণকারীরা উল্টো দাম্ভিকতা করছে। লোডশেডিং, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি। সমাজের সর্বত্রই চলছে অরাজকতা।
শরীয়াহ আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি রফিকুন্নবী হক্কানীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক, মাওলানা আব্দুল লতিফ চৌধুরী, মাওলানা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, ফকরুল আহসান শাহাজাদা প্রমুখ।
এরশাদ বলেন, সামনে রমজান, বিদ্যুতের কি অবস্থা? সেহেরী ও ইফতারির সময় বিদ্যুৎ বিভ্রান্তি হলে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকবে না। সমাজের সর্বক্ষেত্রে অস্থিরতা। কারণ, আমরা ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছি। নিজের জোট প্রসঙ্গে বলেন, সব ইসলামী দল এখনও আমাদের সাথে আসেনি। এখনও দ্বিধা-দন্ড। কিসের দ্বিধা? আমি ইসলামের জন্য অনেক কিছু করেছি। শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটি, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম, মসজিদ-মাদ্রাসা-মন্দিরে পানি ও বিদ্যুৎ বিল মওফুক করেছি। ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বললে সহ্য হয় না। দেশকে সামাজিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের নেতৃত্বে বাকী ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হন। কথা দিলাম আজীবন আমি আপনাদের সাথে থাকবো। তিনি দুঃখ করে বলেন, আজ ইসলামের কথা বললে কুরআন-রাসূলের কথা বললে আমরা মৌলবাদী। নাস্তিকরা যদি নবী-রাসূলের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা মৌলবাদী নয়।
আমেরিকার সমালোচনা করে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, লিবিয়া একটি শান্ত রাষ্ট্র। শুধু তেলের জন্য লিবিয়া ধ্বংস করে দিলেন। এই তেলের জন্য ইরাক, সিরিয়া ধবংস করে দিলেন। লন্ডনে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা জানতাম এই হামলার মুসলমানের নাম আসবে। বলা হলো আইএস জড়িত। এই আইএস সৃষ্টি করেছে কে? এই পশ্চিমারাই ইসলামকে দোষী করার জন্যই এই আইএস সৃষ্টি করেছে। ইসলামকে কেউ নিঃশেষ করতে পারবে না।
নিজের নের্তৃত্বাধীন জেটের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে এরশাদ বলেন, ছোট গাছে বাতাস লাগে না, বড় গাছে বাতাস লাগে। অনেকে বাতাস দেয়ার চেষ্টা করছেন। মনে রাখতে হবে, বড় গাছে বাতাস লাগে কিন্তু ডাল ভেঙ্গেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।