Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোজা ভাঙ্গার প্রক্রিয়া ও খেজুর

| প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রমযানে ইফতার শুরুর প্রক্রিয়া হওয়া উচিত সংযমের সাথে, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ও একটু রয়ে সয়ে । আজানের সাথে সাথে রোযাভেঙ্গে, তাড়াহুড়ো করে পেট ভর্তি ইফতার খেয়ে নিলে নামায পড়াটা যেমন কষ্টদায়ক ও অস্বস্থিকর , পাশাপাশি বদহজম, পেট ফাঁপানো ও ঘন ঘন ঢেঁকুর ওঠা সহ বিভিন্নরকম সমস্যা হতে পারে। এসকল অসুবিধাগুলো আরেকটু বেড়ে যায়, যদি ইফতারের উপকরণগুলো - তেলে ভাজা বুট, বড়া, বেগুনী ও আলুর চপসহ নানা অস্বাস্থ্যকর খাবারে ঠাসা থাকে । এমতাবস্থায় , খাদ্য হজমে অসুবিধা হয় , শরীরে ঠিকমত শক্তির যোগান পেতে পারে না ও যাবতীয় চলাফেরাসহ ইবাদত পালনে অসুবিধা হয়।
আষাঢ় মাসে , ঘামঝরানো দীর্ঘ সময়ের উপবাসের পর , শরীরের অবস্থা বুঝে অল্প দিয়ে শুরু করে আস্তে আস্তে ভারি খাবারের দিকে যাওয়া উচিত । শুরুতে পুষ্টিকর হাল্কা খাবার পানিসহ একটু সময় নিয়ে খাওয়া দরকার । সারা দিনের উপবাসের পর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার পেটে গেলে , শরীর তার প্রায় পুরোটাই শুষে নিতে চায় ও অধিকতর ভারি খাবার হজমের জন্য পরিপাকতন্ত্রে শক্তি সঞ্চয় করে ।
ঐতিহ্যগতভাবে মুসলমানরা খেজুর ও পানি খেয়ে রোযা ভেঙে আসছে । খেজুর রোযা ভাঙার জন্য একটি আদর্শ ফল । এটি বিভিন্ন ভিটামিন , খনিজ পদার্থ , উঁচু মাত্রার প্রাকৃতিক চিনিযুক্ত ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানে ভরপুর একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু আঁশযুক্ত ফল । খেজুর সহজপাচ্য , খাদ্য হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় । খেজুর খেয়ে রোযা ভাঙার অল্প সময়ের মধ্যে উহা বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতি অনেকটা পূরন করে ক্লান্ত শরীরে প্রচুর শক্তি যোগায় ।
পবিত্র কুরআনশরীফ ও হাদিসের বিভিন্ন জায়গায় খেজুরের উপকারিতার কথা বলা আছে । রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন , “রোযাদারদের খেজুর দিয়ে রোযা ভাঙ্গা উচিত ।”

 ডাঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ
 লালমাটিয়া , ঢাকা
 E-mail: [email protected]
 মোবা: ০১৯৩৭৪০৪৫৫৮



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোজা


আরও
আরও পড়ুন