পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্টাফ রিপোর্টার : বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ১৭০ কোটি টাকা লোকসান করেছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা। রবি-এয়ারটেল একীভূতকরণে ব্যয়ের কারণেই এই লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছে অপারেটরটি। এই একই সময়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রবি জমা দিয়েছে ৬৮০ কোটি টাকা। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রবি প্রথম প্রান্তিকের ব্যবসায়িক ফলাফল তুলে ধরে জানিয়েছে, অতিরিক্ত করের চাপ এবং কোম্পানি পরিচালনায় বিপুল পরিমাণ ব্যয়ের কারণে টেকসই বিনিয়োগে উৎসাহ হারাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। মার্জারের পর রবি-এয়ারটেল নেটওয়ার্ক সমন্বয়ের কাজ দ্রæতগতিতে এগিয়ে চললেও প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা সুবিধা না থাকায় প্রত্যাশিত সেবার মান প্রদান করাও কঠিন হয়ে পড়ছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
রবি’র ব্যবসায়িক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট রাজস্ব অর্জনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। গত প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০১৬) থেকে এ প্রান্তিকে রাজস্ব বৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় এ প্রান্তিকে রাজস্ব বৃদ্ধির হার ছিল ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ। বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশজুড়ে ২.৫জি/৩.৫জি নেটওয়ার্ক বিস্তৃতিতে রবি’র মূলধনী বিনিয়োগ ৪১০ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৬২ লাখ। দেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ এখন রবি নেটওয়ার্কে।
একই সময়ে গতবছরের সাথে তুলনা করে দেখা যায়, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে যোগ হওয়া নতুন ২৪ লাখ গ্রাহক নিয়ে এখন রবি’র মোট গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৬২ লাখ।একীভূতকরণের পর ভয়েস (গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ২৫ দশমিক ২ শতাংশ বেশি) ও ডেটা (গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৮৩ শতাংশ বেশি) উভয় ক্ষেত্রে রাজস্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবি’র পরিচালন মুনাফার (ইবিআইটিডিএ) মার্জিন ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ যা পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় কম; মূলত একীভূতকরণের কারণে পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটি হয়েছে। দেশজুড়ে নেটওয়ার্কের আধুনিকায়নে বিনিয়োগের ফলে প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন করতে পারেনি রবি।
রবি-এয়ারটেল একীভূতকরণের ফলে ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রাহক সংখ্যা ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩ কোটি ৬২ লাখে দাঁড়িয়েছে। ভয়েস ও ডেটায় আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ফলে গত প্রান্তিক থেকে এ প্রান্তিকে রাজস্ব ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যা টাকার অঙ্কে ১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে পরিচালন মুনাফার (ইবিআইটিডিএ) মার্জিন ৪ দশমিক ৮ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে যা টাকার অঙ্কে ২৭০ কোটি টাকা, ইবিআইটিডিএ মার্জিন ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এয়ারটেল সাইটগুলোতে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনায় বাড়তি ব্যয়ের কারণে রবি’র মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “গ্রাহকদের জন্য সবচেয়ে বিস্তৃত মোবাইল নেটওয়ার্ক কভারেজ এবং সেরা মোবাইল ফোন সেবা প্রদানের প্রত্যয় নিয়ে ২০১৭ সালের শুরু। ইতোমধ্যে আমরা ১২টি অঞ্চলে রবি-এয়ারটেল নেটওয়ার্কের সমন্বয় করেছি যার আওতায় রয়েছে দেশের ৫০ শতাংশ এয়ারটেল গ্রাহক।’’ তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকেও আমরা সবচেয়ে উদ্ভাবনী ও সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য এবং সেবা চালু করা অব্যাহত রেখেছি। ‘ইয়োলো’ নামে সোশ্যাল সার্কেল তৈরি করেছি; এর মাধ্যমে এয়ারটেল ব্র্যান্ডের তরুণ গ্রাহকদের আরো কাছে রাখছি আমরা। এ সার্কেলের গ্রাহকরা অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যের কল রেট ও ইন্টারনেট প্যাক উপভোগ করতে পারছেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ৬৮০ কোটি টাকা, যা এ প্রান্তিকের মোট রাজস্বের ৪৪ শতাংশ। ১৯৯৭ সালে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রবি এ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ১৮ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। অন্যদিকে একই সময়ে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে প্রদান করেছে ২৯০ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।