পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্টাফ রিপোর্টার : গ্রাহক ও রাজস্ব উভয় ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি সত্তে¡ও ২০১৭ সালে রবি কোন মুনাফা করতে পারেনি। নেটওয়ার্ক উন্নয়নে বিনিয়োগের পাশাপাশি বাজার, রেগুলেটরি ও পরিচালন সংক্রান্ত কয়েকটি কারণে ২০১৭ সালে রবি’র মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮০ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে অপারেটরটি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ২০১৭ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের ব্যবসায়িক ফলাফলে এ তথ্য জানানো হয়। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরে রবিতে নতুন গ্রাহক যোগ হয়েছে ৯১ লাখ, বর্তমানে ৪ কোটি ২৯ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ রাজস্ব প্রবৃদ্ধির ফলে গতবছরটিতে রবির রাজস্বের পরিমাণ ৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনায় বাড়তি ব্যয়ের কারণে ১৯ শতাংশ মার্জিনসহ পরিচালন মুনাফার (ইবিআইটিডিএ) পরিমাণ ১ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশজুড়ে ২জি/৩.৫জি নেটওয়ার্ক বিস্তৃতিতে মূলধনী বিনিয়োগ ২ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ২ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা। যা মোট রাজস্বের ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ। মানসম্মত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে ক্রমাগত বিনিয়োগের ফলেই ২৮০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছে রবি। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ডেটা ও ভয়েস সেবার মূল্য নিয়ে বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা ২০১৭ সালের ব্যবসায়িক ফলাফলে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। বর্তমান ত্রæটিপূর্ণ মূল্য কাঠামোর কারণে পণ্য ও সেবার আগ্রাসী মূল্য নির্ধারণ এবং এক খাতের আয় দিয়ে অন্য খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে বাজারে। ফলে বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা না থাকায় চলমান সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। সর্বোপরি উচ্চ করারোপের ফলে তুলনামূলক ছোট কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক ফলাফলে চাপ তৈরি হচ্ছে। ফোরজি’র যুগে প্রবেশ করেছে দেশ। কিন্তু রবি’র ব্যবসায়িক ফলাফল এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ডিজিটাল বিপ্লব আনতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিনিয়োগের সক্ষমতা ক্ষীণ হয়ে আসছে। এই চ্যালেঞ্জের মধ্যেই ২০১৭ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে রবি’তে ১৭ লাখ নতুন গ্রাহক যোগ হয়ে মোট গ্রাহকের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৯ লাখে। তৃতীয় প্রান্তিক থেকে চতুর্থ প্রান্তিকে রাজস্ব ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৮৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ‘মাই প্ল্যান’র মাধ্যমে গ্রাহকরা নিজেদের সুবিধা মতো ডেটা ও ভয়েস সেবা গ্রহণের সুযোগ পাওয়ায় চতুর্থ প্রান্তিকে ডেটা থেকে রাজস্বের পরিমাণ ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের ফলে তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় চতুর্থ প্রান্তিকে পরিচালন মুনাফা (ইবিআইটিডিএ) ৩ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে যা টাকার অঙ্কে ৩৭০ কোটি টাকা। বিশেষত ইডটকো’র সাথে মালিকানা পরিবর্তন সংক্রান্ত এককালীন ব্যায়ের কারণে ২০১৭ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে কর পরবর্তী মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। গ্রাহকদের আরো মানসম্মত ভয়েস ও ডেটা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ফোরজি নেটওয়ার্ক তৈরি এবং দ্রæত ৩.৫জি নেটওয়ার্কর বিস্তারের জন্য ক্রমাগত বিনিয়োগ করে চলেছে রবি। ২০১৭ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের ১ হাজার ১২০ কোটি টাকাসহ কোম্পানির কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রবি’র মোট মূলধনী ব্যয়ের পরিমাণ ২০ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। ১০ হাজার ৬৫০’টির বেশি সাইট নিয়ে দেশের ৬৪টি জেলাতেই রয়েছে রবি’র নেটওয়ার্ক যার মধ্যে ৯ হাজার ২শ’টির বেশি ৩.৫জি সাইট। এ বিষয়ে রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের সেরা নেটওয়ার্কে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে রবি। ফোরজি ও এমএনপি নিয়ে আলোচিত এই সময়ে আমাদের বিশ্বাস, আমরা আমাদের গ্রাহকদের আরো ডেটা স্পিড ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক প্রদান করতে পারব। ‘ইয়ুথ ব্র্যান্ড’ হিসেবে এয়ারটেল ও ‘ডিজিটাল’ ব্র্যান্ড হিসেবে রবি প্রতিষ্ঠা পাওয়ায় ২০১৭ সালে আমাদের গ্রাহক সংখ্যা ২৬ দশমকি ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।