Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লোকসান ১,৮৫২ কোটি টাকা দ্রুতগতিতে রেলে উন্নয়ন ঘটছে

| প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দ্রত গতিতে রেলওয়ের উন্নয়ন ঘটছে জানিয়ে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, উন্নয়নের কারণে রেলওয়েতে উত্তরোত্তোর যাত্রীসংখ্যাও বাড়ছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। যেখানে বিগত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ৬ কোটি ৪৯ লাখ যাত্রী রেলে যাতয়াত করেছিল সেখানে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ বলে জানিয়েছেন।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বিগত ৪ বছরের বাংলাদেশ রেলওয়েতে ২৮ কোটি ৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছে বলেও পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মন্ত্রী। মুজিবুল হক জানান, তিনি বলেন, রেলওয়েতে এখন প্রতিদিন ৮৮টি আন্তঃনগর ট্রেন, ১২৬টি লোকাল ট্রেন, ১৩২টি মেইল এক্সপ্রেস ও ডেমু ট্রেন এবং ৪টি আন্তঃদেশীয় ট্রেনসহ সর্বমোট ৩৫০টি ট্রেন পরিচালিত হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২৭০টি কোচ এবং ইঞ্জিন আমদানির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১১৬টি নতুন ট্রেন প্রবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে আরো প্রায় ৭শ’টি কোচ এবং ইঞ্জিন আমদানি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ ছাড়া ই-টিকেটিং এবং অন-লাইন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে যাত্রীদের টিকেট ক্রয় সহজ করা হয়েছে।
বেগম সালমা ইসলামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৮৪ হাজার ৮৯২ কোট ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৭৫ টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ এবং ৯০ হাজার ৯১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৩ টি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। চলতি অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে রেলের জন্য থোকসহ ১০ হাজার ৮১৬ কোটি ৯৯ লাখ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৯৭ দশমিক ৯৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মান এবং ১১২৩ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার রেলপথ পূর্ণবাসন করা হয়েছে। এছাড়া অনেকগুলো নতুন রেলপথের সমীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা- চট্টগ্রাম দ্রæত গতির বুলেট ট্রেন, ঢাকা শহরের চারদিকে চক্রাকার ট্রেন চালু সহ নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় ১০ টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, অনেকগুলোর সম্ভাবত াযাচাই কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে আনার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি। সরকারিদলের মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক জানান, ২০১৬–২০১৭ অর্থ বছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিট লোকসান ছিল এক হাজার ৮৫২ কোটি ৯৪ লাখ ৬৬ হজার টাকা। ওই অর্থবছরে রেলের আয় ছিল এক হাজার ২৮৯ কোটি ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। আর ব্যয় ছিল ৩ হাজার ১৪২ কোটি ৩০ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের রেলপথ স্থাপনরে ভৌত নির্মাণ কাজ আগামী আগস্ট এর মধ্যে শুরু হবে। রেলপথে ঢাকা অংশের স্টেশনগুলো হল–ঢাকা, গেন্ডারিয়া, কেরানীগঞ্জ, নিমতলা, শ্র্রীনগর, মাওয়া। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। মেয়াদ শেষে স্টেশনগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লোকসান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ