পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ‘ভিশন ২০৩০’ কে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে সররকার প্রধানের ‘শুভ বুদ্ধির উদয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান আশা প্রকাশ করেছেন, এভাবে বিএনপির দেয়া নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রস্তাবের প্রতিও প্রধানমন্ত্রী একসময় সমর্থন জানাবেন বলে মনে করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী এবং খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পুলিশের তল্লাশির প্রতিবাদে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ন্যাব) আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন নোমান।
খালেদা জিয়া গত ১০ মে সংবাদ সম্মেলন করে ‘ভিশন ২০৩০’ তুলে ধরেন, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কী কী করবেন, তা জানান। এরপর গত শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রথমবারের মতো বিএনপির রূপকল্প নিয়ে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী দল। তার কাছ থেকে সবাই শিখবে। এটা খুব স্বাভাবিক কথা। সেজন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। অন্তত এত যুগ পরে তাদের একটু মাথায় এল তারা ভিশন ২০৩০ দিয়েছে। তারা শিখেছে। যদি নকল করেও পাস করতে চায়, করতে পারবে। সেটা বাংলাদেশের মানুষ বিবেচনা করবে।
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে নোমান বলেন, তার দলের চেয়ারপারসন ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এই ঘোষণা বা রূপকল্প আওয়ামী লীগ আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ধন্যবাদ জানিয়েছেন যে- একটা ইতিবাচক কর্মসূচি বিএনপি দেশকে উপহার দিয়েছে।
নোমান বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। সেই মৌলিক পার্থক্য আছে বলেই রাজনীতিতে জাতীয়তাবাদী দল এখনো আছে। নাহলে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল, পারে নাই রাজনৈতিক শক্তির কারণে। ভবিষ্যতে বিএনপির যে আদর্শ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দিয়ে গেছেন, সেই রাজনীতি এগিয়ে যাবে। এই রাজনীতিকে আটকে রাখা যাবে না। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের কোনো ‘জনভিত্তি’ নেই বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, আমরা চাই- দেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পাক এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে চাইলে (ক্ষমতাসীন দল) সংবিধান থেকে যেসব ধারা বাদ দিয়ে দিয়েছে, সেগুলোকে সংযোজন করলে তাদেরই লাভ হবে। তাদের আর দেশ পালাতে হবে না। ক্ষমতায় সরকার আসবে, সরকার যাবে। এই নীতিমালা যদি তারা গ্রহণ করে, তাদের আর পালাতে হবে না।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরীও অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।