Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈশ্বরদীতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ভ‚মিমন্ত্রীর ছেলেসহ যুবলীগের ১১ নেতা গ্রেফতার

প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১১ এএম, ২০ মে, ২০১৭

ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঈশ্বরদীতে সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ভ‚মি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এমপির ছেলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমালসহ যুবলীগের ১১ নেতা-কর্মীকে  গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গত বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদীতে দলীয় প্রতিপক্ষ নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গতকাল শুক্রবার ভোর রাতে তাদের আটক করা হয়। গ্রেফতার হওয়া বাকি অন্য ১০ জন হলেন শহরের মধ্যঅরণকোলার মাসুম আহমেদ, ইস্তা গ্রামের সাইফুদ্দিন, শেরশাহ রোডের সবিরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, দুই ভাই মাহবুব হাসান ও প্রিন্স ইসলাম, জাফর ইকবাল, পূর্বটেংরীর রনি ইসলাম, নূরমহল্লার জাহাঙ্গীর হোসেন ও শহীদ আমিন পাড়ার মোহাম্মদ বিন সালামের ছেলে ফাহাদ। গ্রেপ্তারের পর এই ১১ জনকে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাবনা-৪ আসনের এমপি ও ভ‚মি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর সাথে তার জামাতা ঈশ্বরদীর পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর অনেকদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে গত বৃহ¯পতিবার দুপুরে ভ‚মি মন্ত্রী সমর্থিত উপজেলা যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ঈশ্বরদী বাজারের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়। এ সময় মন্ত্রীর জামাতা আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর মিষ্টির দোকানসহ, বেশ কিছু সাধারণ ব্যবসায়ীর দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা। একই সময়ে হামলাকারীরা আবুল কালাম আজাদ সমর্থিত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাসের বাড়িতেও ভাঙচুর চালায়। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে তাদের মারধরে আহত ছাত্রলীগ সভাপতি যুবয়ের বিশ্বাসের মা হাজেরা বেগম। এরপর শহরের কলেজ রোডে মুক্তিযোদ্ধা আজমল হক বিশ্বাসের ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা শরিফুল হাসান বিশ্বাস আরিফের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়।  
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই তালুকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গত বৃহস্পতিবারের হামলার ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাসের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার বিশ্বাস বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় রাতেই একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ভ‚মি মন্ত্রীর ছেলে শিরহান শরীফ তমালকে প্রধান আসামি করা হয়। এরপর রাতেই অভিযানে নামে ঈশ্বরদী ও পাবনা পুলিশের যৌথ দল। তারা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ভ‚মি মন্ত্রীর ছেলে শিরহান শরীফ তমালসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে।
পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বলেন, একাধিক হামলার ঘটনার মধ্যে শুধুমাত্র জুবায়ের বিশ্বাসের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পরপরই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পাবনা ও ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ। শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে শহরের আলিবর্দী রোডে ভ‚মি মন্ত্রীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। বাড়ি থেকে মন্ত্রীর ছেলে তমালকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি ১০ জনকে শহরের বিভিন্ন এলাকা ও বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সময় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব সরকারের বাড়িতে পুলিশি অভিযান চালালেও তাকে পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈশ্বরদী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ