বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনায় এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর নিকোবøাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব থাকা সত্বেও বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কয়েক দফা কালবৈশাখী ঝড়ে কোন কোন এলাকায় ধানের ক্ষতি হলেও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে পাবনায় ৪৯ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে পাবনা সদর উপজেলায় ৮ হাজার ৪৯৫ হেক্টর, আটঘড়িয়া উপজেলায় ৭ হাজার ১৪৫ হেক্টর, ঈশ্বরদী উপজেলায় ২ হাজার ২১০ হেক্টর, চাটমোহরে ৯ হাজার ৮১৫ হেক্টর, ভাঙ্গুড়ায় ৭ হাজার ২৫ হেক্টর, ফরিদপুরে ৭ হাজার ৫২৯ হেক্টর, বেড়ায় ৪ হাজার ৪৪০ হেক্টর, সাঁথিয়ায় ৬ হাজার ৮৮০ হেক্টর ও সুজানগরে ৪ হাজার ৬১৫ হেক্টরসহ মোট ৫৮ হাজার ১৫৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে।
এর মধ্যে চাটমোহর, ভাগুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার চলনবিল অঞ্চলে অতিবৃষ্টিজনিত পানিবদ্ধতায় কিছু ধান নষ্ট হলেও মোট উৎপাদন ভাল হয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা। কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় এ তিন জাতের বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এ পর্যন্ত কাটা ধানে হেক্টর প্রতি চাল উৎপাদন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী হওয়ায় মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
পাবনায় মৌসুমের শুরুতেই ঝড় ও বজ্র বৃষ্টি হওয়ায় এ বছর সেচ নির্ভর বোরো আবাদে পানি সংকট হয়নি। সেই সাথে বজ্রপাতের কারণে বাতাসে থাকা নাইট্রোজেন নাইট্রেটে পরিবর্তিত হয়ে জমিতে পড়ায় জমির উর্বরতা বেড়ে যায়। এদিকে, নিকোবøাস্ট রোগ প্রথমেই দমন করা হয় ফলে ফলন ভাল হয়েছে। মাঠে মাঠে ধান কাটা আর মাড়াইয়ের কাজে কৃষাণ-কৃষাণী ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পাবনার আতাইকুলা, দাপুনিয়া, নাজিরপুর, গয়েশপুর দোগাছি, সুজানগর, চাটমোহর, আটঘড়িয়া, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর পর মাঠ ছেয়ে আছে সোনালী ধান। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ধান ক্ষেতে জমেছে থাকা কাদাপানি মাড়িয়েই কৃষক ধান কেটে আঁটি বাঁধছেন। মহিষের গাড়ি বোঝাই করে সে ধান নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। এরপর মাড়াই মেশিনে ধান,খড় আলাদা করে রোদে শুকানো হচ্ছে।
পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ বছর একদিকে ছিল কালবৈশাখী ঝড়, শিলা, অতিবৃষ্টি অন্যদিকে নিকোবøাস্ট আর বিএলবি রোগের আতংক। তাই চলতি বছর বোরো আবাদ নিয়ে সংশয়ে ছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত নিরাপদে ধান ঘরে ওঠায় স্বস্তি মিলেছে। প্রায় একই ধরণের কথা বলেছেন, নাজিরপুর গ্রামের কৃষক সালাউদ্দিন,গয়েশপুর গ্রামের কৃষক মেহেদী হাসান প্রমুখ ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপপরিচালক বিভূতি ভূষণ সরকার জানান, পাবনায় এ পর্যন্ত মোট আবাদকৃত ৪৯ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমির শতকরা ২৭ ভাগ ধান কর্তন হয়েছে। এতে আমাদের হেক্টর প্রতি চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩ দশমিক ৭৪ টন সেখানে উৎপাদন হয়েছে ৪ দশমিক ১৩ টন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।