পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় বিদেশি সবজি ক্যাপসিকামের বাম্পার ফলন হয়েছে। ক্যাপসিকাম চাষ করে সুফল পেয়েছেন কৃষক সদরুল হক। তার ফসলের মাঠে গাছে গাছে ঝুলছে ড্রিম, চয়েজ, মেশি ও সুইট বিউটি-৩ জাতের ক্যাপসিকাম। ফলন ভালো হওয়ায় সদরুলের মুখে ফুটেছে প্রশান্তির হাসি।
কৃষক সদরুল ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামের মাজুল হকের ছেলে। তিনি জানান, জমিতে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম ফলাতে হবে। ক্যাপসিকাম মিষ্টি মরিচ হিসেবে পরিচিত। এমন চিন্তা থেকে গত বছরের অক্টোবর মাসে বীজ থেকে ক্যাপসিকামের চারা উৎপাদন শুরু করেন।
সদরুল এবার প্রায় ৫ বিঘা জমিতে রোপন করেন চারা। এরপর পর্যায়ক্রমে ডিএপি, এমওপি, জিং ও জৈব সার ব্যবহার করেন। গত বছরে তার এক বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করে ভালো ফলন পেয়ে এবার ৫ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেছেন। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ৫ বিঘা জমিতে প্রায় সোয়া ৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ক্যাপসিকাম বিক্রি। বিক্রি চলবে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত। ছাতক উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, খরচ বাদে ক্যাপসিকাম বিক্রি করে কৃষক সদরুলের প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হবে।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ক্যাপসিকামে ভিটামিন বি, ই, কে থিয়ামিন অ্যাসিড, ফলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্ল্যাভিন ইত্যাদি পাওয়া যায়। বড় হোটেল-রেস্তেুারাঁ ও চাইনিজ রেস্টুরেন্টগুলো ক্যাপসিকামের মূল ক্রেতা। এটি হচ্ছে খাবারের সাথে সালাদ। সঠিক পরিচর্যা ও সময়মত ওষুধ প্রয়োগে এ সবজি থেকে স্বল্প সময়ে ভালো লাভের সুযোগ রয়েছে। বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম উৎপাদন বাড়লে স্থানীয় কৃষকরা অনেকেই স্বাবলম্বী হবেন।
এক সময় শহরের বাসা-বাড়ির ছাদে টবের মধ্যে শখের বশে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষ করতেন অনেকেই। এখন আর ছাদে নয়, ফলন ভালো হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে জমিতে এ সবজিটি চাষাবাদ শুরু হয়েছে। সদরুল হক বলেন, বীজ বপনের পর গাছগুলো নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। গাছ লাগানোর ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে ফুল আসতে শুরু করে। ফুল আসার ২৫ দিনের মধ্যে ফল বিক্রির উপযুক্ত হয়।
তিনি জানান, কয়েক মাস পর্যন্ত ফল পাওয়া যায় এসব গাছ থেকে। চলতি বছরে স্বল্প পরিসরে তিনি বিদেশী এ সবজি চাষাবাদ করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি ধরে ক্যাপসিকাম বাজারে বিক্রি করেছেন। সুপারশপে বিক্রি করা হচ্ছে ক্যাপসিকাম।
উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ একটি জনপ্রিয় বিদেশী সবজি। এ সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন। বাণিজ্যিকভাবে ছাতকে এখন ক্যাপসিকাম চাষাবাদ শুরু হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান বলেন, ক্যাপসিকাম চাষে কৃষকদের নানা ভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ এটির চাষাবাদ বাড়াতে ও বাজারজাত করতে কাজ করছে। ক্যাপসিকামের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত ও চাষাবাদ বাড়ানো গেলে আমদানি নির্ভরতা অনেকটাই কমে আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।