পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : প্রাচ্যের রানী চট্টগ্রাম নগরীতে বসছে বিশ্ব পর্যটন সংস্থার অন্যতম আসর। পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন বøুতে আজ মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে ইউএনডবিøউটিও’র জয়েন্ট কমিশনের বৈঠক। তিন দিনব্যাপী এ আসরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩০টি দেশের মন্ত্রী, সচিব, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রায় ৩শ’ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন। সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইউএনডবিøউটিও’র মহাসচিব ড. তালেব রিফাই।
গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার অন্যতম এই আসর আয়োজন পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার একটি স্বীকৃতি বলে জানান রাশেদ খান মেনন। সংবাদ সম্মেলনে এ উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণ-চট্টগ্রাম বিভাগ’ শীর্ষক একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানান, ইউএনডবিøউটিও’র জয়েন্ট কমিশনের সভা ও সিএপি এবং সিএসএ’র অন্যতম বৃহৎ ইভেন্ট। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সিএপিভুক্ত ২১টি এবং সিএসএভুক্ত ৯টি দেশ থেকে মন্ত্রী, সচিবসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করবেন। এতে যোগ দিচ্ছেন ইউএনডবিøউটিও অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। দেশ-বিদেশের ৩শ’ জন প্রতিনিধি এ আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নেবেন বলে জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, এ আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে; আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজনে বাংলাদেশের সক্ষমতা আবারও প্রমাণিত হবে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে নতুন পরিচিতি পাবে। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকশিত হবে। সর্বোপরি পাহাড়, নদী ও সাগর বেষ্টিত ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। এর মধ্যদিয়ে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের ব্র্যান্ডিং হবে যা পর্যটনকেই শুধু নয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্যেও নতুন গতি আনবে।
পর্যটন খাতের উন্নয়নে সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। এ বিমানবন্দরে বিশ্বের সর্বাধুনিক বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যদিয়ে পর্যটকরা সরাসরি ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে না গিয়ে কক্সবাজারে অবতরণ করতে পারবে। যা পর্যটন ও এভিয়েশন জগতে নতুন বাণিজ্যের দুয়ার উন্মুক্ত করবে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও পারকি সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে উন্নয়নের মহাপরিকল্পা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পর্যটন বিষয়ে চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের আয়োজন বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার প্রমাণ উল্লেখ করে তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, পর্যটন খাত বিকাশে যা যা করা দরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার তার সবকিছুই করছে। পর্যটন বিকাশের পূর্বশর্ত স্থিতিশীল পরিবেশ ও স্বাভাবিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কঠোর অবস্থানের কারণে দেশ এখন অনেক নিরাপদ। জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে বর্তমান সরকার কঠোরহস্তে দমন করছে। সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের ফলে মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে আর এ কারণে দেশে পর্যটকের সংখ্যাও বাড়ছে। সম্মেলন উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগের পর্যটন স্পটগুলোকে সম্পৃক্ত করে প্রকাশিত স্মারকটি চট্টগ্রামকে বিদেশিদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তথ্য মন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুক, বিটিবির সিইও ড. নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।