পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : চরম উত্তেজনা, হট্টগোল, শ্লোগানের কারণে শুরুর আধা ঘন্টার মধ্যেই শেষ হয়ে গেল বগুড়া বিএনপি’র কর্মীসভা। ফলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সভার প্রধান অতিথি দলের নেতা কর্মিদের আগামী নির্বাচন এবং আন্দোলন দুটোর জন্যই প্রস্ততি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তড়িঘড়ি সভাস্থল ত্যাগ করে গেলেন হাবিবুন্নবী সোহেল। উল্লেখ্য আগামী নির্বাচন ও আন্দোলনকে সামনে রেখে সারা দেশে বিএনপি’র নেতা কর্মীদের সাথে মত বিনিময় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বগুড়া ও গাইবান্ধায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ন-সম্পাদক হাবিব উন নবী খান সোহেল বগুড়ায় কর্মী সভা করতে আসেন গতকাল শনিবার। শহরের টিএমএসএস মহিলা মার্কেটের ৪র্থ তলায় অবস্থিত অডিটোরিয়ামে কর্মী সভার আয়োজন করা হয়। কর্মী সভার শুরু থেকেই দলের পক্ষ বিপক্ষের দুটি গ্রæপ অটোরিয়াম ও বাইরে অবস্থান নেয়। শুরু থেকেই অডিটোরিয়ামে দুই গ্রæপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সেখানে শ্লোগান পাল্টা ¯েøাগান চলতে থাকে। এক পর্যায়ে হট্টগাল সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সভার সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্য কাউকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ না দিয়ে শুধু প্রধান অতিথি হাবিব উন নবী সোহেল কে বক্তব্য দেয়ার প্রস্তাব দেন। প্রধান অতিথি বক্তব্যের মধ্যেই সভাস্থলে শ্লোগান পাল্টা ¯েøাগান শুরু হলে তিনি কয়েক মিনিট বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি দুটি একসাথে চলবে। বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় না। আন্দোলন ও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন সহায়ক সরকার না হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। আন্দোলনে রাজপথে থাকবে। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার পরই তিনি মঞ্চ ছেড়ে নিচে নেমে আসেন। এ সময় জেলা যুবদলের সভাপতি শিপার আল বখতিয়ার ও তার অনুসারিরা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। প্রধান অতিথি পরে সার্কিট হাউসের পাশে রানার সিটির সামনে কর্মীদের উদ্দেশ্যে আবারো বক্তব্য দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ সময় যুবদল সভাপতি শিপার আল বখতিয়ারের পক্ষে শ্লোগান চলতে থাকে। শত শত নেতা কর্মীরা তার বক্তব্য শোনার জন্য রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে পড়েন। প্রচন্ড ভিড় ও শ্লোগানে কারো কথাই শোনা যাচ্ছিলনা এসময়। পরে তিনি গাড়িতে ওঠে রওয়ানা হয়ে চলে যান।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, লোকাল নেতারা যেন বক্তব্য দিতে না পারেন এবং মাঠ পর্যায়ের প্রকৃত অবস্থা যেন কেন্দ্রীয় নেতারা জানতে না পারেন সে জন্য ছোট জায়গায় কর্মী সন্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিলো। হট্টগোল তুমুল আকার ধারণ করায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কর্মী সন্মেলন শুরু হওয়ার পর হট্টগোল ও শ্লোগান পাল্টা শ্লোগানে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠায় বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃস্টি হয়। হৈচৈয়ের কারণে অপ্রীতিকর অবস্থা সৃস্টি হওয়ার আশঙ্কায় এক পর্যায়ে প্রধান অতিথিকে বক্তব্য দেয়ার জন্য বলা হয়। হৈ চৈ এর মাঝেই তিনি বক্তব্য শুরু করে কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্য দীঘায়িত করেননি। এ ব্যপারে বগুড়া জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন এর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, কর্মী সম্মিলনের জায়গা ছোট হওয়ায় সমস্যার সৃষ্ঠি হয়েছিল। ফলে শুধু প্রধান অতিথির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পরই তিনি সভাস্থল ছেড়ে চলে যান।
জেলা যুবদলের সভাপতি শিপার আল বখতিয়ার জানান, বগুড়ার নেতা কর্মীরা কর্মীসভার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতাকে বগুড়ার বিএনপি’র বাস্তব অবস্থা জানানোর জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্ত নেতা কর্মীরা যেন বগুড়া বিএনপি’র নেতাদের এবং সংগঠনের সঠিক চিত্র তুলে ধরতে না পারেন সেই কারণে স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আর ছোট জাযগায় কর্মী সভা করার কারণে হাজার হাজার কর্মীরা বাইরে ছিল। তাই শুধু প্রধান অতিথি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে চলে গেছেন। খোলা মাঠে কর্মী সভায় আয়োজন করা হলে নেতারা দলের অবস্থান এবং নেতাদের কার্যকলাপ কেন্দ্রীয় নেতাকে জানাতে পারতো। তিনি বলেন, সভা ব্যর্থ ও বানচাল করতে প্রশাসন আগের রাতে সাংঘঠনিক ভাবে দক্ষ নেতা কর্মিদের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। গ্রেফতার করে যুবদল নেতা সেন্টুসহ অনেককে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।