মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভেগান বিপ্লবে ভিন্ন মাত্রা দিচ্ছেন জার্মানরা
ইনকিলাব ডেস্ক : ঐতিহ্যবাহী জার্মান খাবারের কথা চিন্তা করলে খাদ্য তালিকায় গোশত থাকবেই। গরু, মুরগি, ভেড়া, শূকর নানান গোশত ও গোশতজাত খাবার জার্মানদের মূল আহার। তবে এ ঐতিহ্যে পরিবর্তন আসছে। গোশতের বদলে নিরামিষ মেনু দখল করছে জার্মানদের খাবার টেবিল। দেশটিতে ক্রমশ বাড়ছে নিরামিষাশী ও ভেগানদের সংখ্যা। যা বিশ্বব্যাপী ভেগান আন্দোলনে রসদ জোগাচ্ছে। নিরামিষাশীরা খাবারে প্রাণিজ আমিষ পছন্দ করেন না। তারা নিরামিষ খেতে ভালোবাসেন। অন্যদিকে ভেগানরা শুধু খাবারেই নয়, বরং পোশাক থেকে শুরু করে নিত্যদিনের ব্যবহার্য দ্রব্যেও প্রাণির উপস্থিতি মানতে নারাজ। এজন্য তারা প্রাণির লোম কিংবা দাঁতের তৈরি পোশাক ও দ্রব্যদি ব্যবহার করেন না। জার্মান সমাজে নিরামিষাশী ও ভেগানদের সংখ্যা বাড়ছে। আর এ কারণে জার্মানদের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য তালিকায় এসেছে পরিবর্তন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিন্টেলের এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ২০১৬ সালে জার্মানি সবচে বেশি ভেগান খাবার উৎপাদন করেছে। বিশ্বের মোট পরিমাণের ১৮ শতাংশই উৎপাদন করেছে জার্মানরা। যেখানে বিশ্ব বাজারে যুক্তরাষ্ট্র ১৭ শতাংশ, ব্রিটেন ১১ শতাংশ এবং ফ্রান্স ৬ শতাংশ অবদান রেখেছে। তাই বলা যায়, বর্তমান বিশ্বে জার্মানদের হাত ধরেই ভেগান আন্দোলন ভিন্ন মাত্রা পাচ্ছে। জার্মানির নিউট্রিশন সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট স্টিফান লর্কওস্কি বলেন, ফুড টেকলোলজিস্টরা অসাধারণ কাজ করেছেন। নতুন এসব খাবার বেশ মজাদার। অনেক জায়গায় এসব মেনু ঐতিহ্যবাহী গোশতজাত খাবারের জায়গা দখল করেছে। ইউরোপের প্রথম ভেগান সুপার মার্কেট চেইন হিসেবে ভেগানজ-এর খ্যাতি রয়েছে। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠানটি জার্মানির রাজধানী বার্লিনে প্রথম শাখা খোলে। অল্প সময়ের মধ্যেই দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে ১০টি শাখা খুলেছে ভেগানজ। এখানে খাবার ছাড়াও ভেগানদের ব্যবহারের জন্য ৪ হাজার ৫০০ এর বেশি পণ্য পাওয়া যায়। নামি-দামি জার্মান রেস্টুরেন্টগুলোও আজকাল নিরামিষাশী ও ভেগানদের জন্য আলাদা মেনু রাখছে। গির্ট মিনস্কিন নামের একজন জার্মান নাগরিকের মতে, যে হারে এসব পণ্য জনপ্রিয় হচ্ছে, তাতে অচিরেই এটা একটা সামাজিক ট্রেন্ড হিসেবে দেখা দেবে। জরিপ বলছে, ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১৮ থেকে ৭৯ বছর বয়সী ৪ দশমিক ৩ শতাংশ জার্মান নিরামিষাশী হয়েছেন। ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ ও যুবকদের মধ্যে এ হার সর্বোচ্চ। অন্যদিকে ব্রিটেনের মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ নিরামিষাশী। মার্কিন মুলুকে এ হার ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। যদিও ভেগান আন্দোলনের স্বর্গরাজ্য ধরা হয় ব্রিটেনকে। এ দেশেই প্রথমবারের মত ভেগান সোসাইটি গড়ে ওঠে। সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।