নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : আসন্ন ফুটবল মৌসুমকে সামনে রেখে দলবদলের শেষ দিন গতকাল সাতটি ক্লাব খেলোয়াড় নিবন্ধন করিয়েছে। আগের দু’দিন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, নবাগত সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও চট্টগ্রাম আবাহনী দলবদল কার্যক্রম শেষ করে। কাল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, টিম বিজেএমসি, ঢাকা আবাহনী, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব এই কার্যক্রমে অংশ নেয়। তবে এদের মধ্যে একমাত্র আরামবাগ ছাড়া অন্য কোন ক্লাব নিজেদের খেলোয়াড় নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে আসেনি। অন্যদিকে ফরাশগঞ্জ জরিমানার অর্থ পরিশোধ না করেও বাফুফের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে দলবদল শেষ করে।
দলবদলের শেষ দিন বিকালে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ঢাক-ঢোল ও বাদ্যের তালে তালে বাফুফে ভবনে আসে খেলোয়াড় নিবন্ধন করাতে। নতুন মৌসুমে আরামবাগের ৩৫ জনের তালিকায় গত মৌসুমের মাত্র ৫ জন খেলোয়াড় রয়েছেন। এতেই স্পষ্ট আসন্ন লিগে নতুন একটি দল নিয়ে মাঠে নামবে তারা। বিজেএমসি থেকে আনা ফরোয়ার্ড সোহেল রানা, শেখ রাসেল থেকে আনা ক্যামেরুনের ডিফেন্ডার ইকাঙ্গা ও নাইজেরিয়ান বুকোলা ছাড়া বাকি ফুটবলাররা অনেকটাই অচেনা। তবে এই অচেনাদের ভিড়ে মতিঝিলের দলটিতে কোচের ভূমিকায় দেখা যাবে খুবই পরিচিত একটি মুখ। তিনি হলেন জাতীয় দলের সাবেক কোচ মারুফুল হক। দেশের একমাত্র উয়েফা লাইসেন্সধারী কোচ মারুফুল আসন্ন মৌসুমে আরামবাগের খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেবেন।
দলবদলে এসে মারুফুল হক বলেনে, ‘আমি যখন প্রথম কোচিংয়ে আসি তখন মোহামেডানে পেয়েছিলাম প্রতিষ্ঠিত অনেক খেলোয়াড়। ওই খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দিয়ে নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। এখন আমি প্রতিষ্ঠিত কোচ, অচেনা যাদের নিয়ে নতুন মিশন শুরু করলাম তাদের প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আশা করছি, মাঠে পারফরমেন্স দিয়ে আমার এই নতুন ছেলেরাই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি যখন আরামবাগের দায়িত্ব নেই তখন প্রায় সব ক্লাবেরই ঘর গোছানো শেষ। তারপরও চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব একটা ভালো দল করতে। ক্লাব কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও খেলোয়াড়দের মনোভাব যা, তাতে আমি ভালো কিছু আশা করতেই পারি। গতবার ষষ্ঠ স্থানে ছিলো আরামবাগ, এবার তার আশপাশেই থাকতে চাই।’ আরামবাগ ক্লাবের সভাপতি আলহাজ মমিনুল হক সাঈদ বলেন, ‘আমাদের দলটি তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া। তবে আমরা দেশের সেরা কোচকেই নিয়েছি। আমরা চাই আরামাগের এ তরুণদের মধ্যে থেকেই দেশে নতুন নতুন খেলোয়াড় তৈরী হোক।’
এক সময় ঢাকার ফুটবলে গোলমেশিন খ্যাত নাইজেরিয়ান বুকোলা ওলালেকান ছাড়া বাকি প্রায় সব খেলোয়াড়ই ছিলেন নিবন্ধনের সময়। চার বছর আগে দেশের ঘরোয়া আসরে খেলে যাওয়া বুকোলোকে এবার দেখা যাবে আরামবাগের জার্সি গায়ে। ক্লাব কর্মকর্তারা জানান, বুকোলো ক’দিনের মধ্যেই ঢাকায় আসবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।