পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : বিয়ের খাবারের আয়োজনে গরুর গোশতের নানান পদ না থাকায় রেগে যায় পাত্রপক্ষ। অন্যান্য পদের খাবারের আয়োজন ছিল। কিন্তু লাগবে গরুর কাবাব, কোর্মা এবং বিরিয়ানি। আর কনেপক্ষ বিয়ের দিনে খাবারে তা দিতে না পারায় বর ভেঙে দেন বিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মুজাফফর নগরে। তবে বিয়ের আসরেই অন্য একজনের সঙ্গে বিয়ে হয় কনের।
খবরে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের মুজাফফর নগরের কুলহেদী গ্রামের একটি বিয়েবাড়িতে বর আসবে বলে ছিল সব আয়োজনই। যোগী আদিত্যনাথ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই অবৈধ কসাইখানা বন্ধ। আর এতে করে গোশতের দাম বাড়ছে হু হু করে। আবার পর্যাপ্ত জোগানের অভাব তো আছেই। তাই ওই রাজ্যে গোশত পাওয়া একটু কঠিন হয়ে গেছে। আর বিয়েতে গরুর কাবাব, গরুর কোর্মা এবং বিরিয়ানির জন্য যত গোশত দরকার, তা আয়োজন করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার কনেপক্ষ নাগমার পরিবারের জন্য। উপায় না দেখে কনেপক্ষ গোশতের পদ বাদে ফল-ফলাদি ছাড়াও নানা আয়োজন করেছিল। কিন্তু বর রিজওয়ান ও তার পরিবারের দাবি, গরুর গোশতের কাবাব, কোর্মা এবং বিরিয়ানি। এসব পদ কেন সংগ্রহ করতে পারেনি, তার ব্যাখ্যাও রিজওয়ানদের কাছে তুলে ধরেন নাগমার পরিবার। কিন্তু বরপক্ষ অনড়, গোশতের পদ লাগবেই, এ ছাড়া বিয়ে হবে না। উপায় না দেখে বিয়ের আসরে গ্রামের মান্যগণ্য ব্যক্তি ও পঞ্চায়েতকে ডাকেন নাগমার পরিবার। কিন্তু কিছুতেই কোনো কাজ হয়নি। বিয়ে ভেঙে দেয় পাত্রপক্ষ। কুলহেদী গ্রামে বিয়ের কারণে আনন্দ ভর করেছিল। বিয়ে ভেঙে দিয়ে বর রিজওয়ান যখন চলে গেলেন, তখন পুরো গ্রামে বিশাদের ছায়া।
এই পরিস্থিতিতে যা হয়, সে অবস্থায়ই কনেপক্ষের। এমন সময় সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন বিয়েতে আমন্ত্রিত এক যুবক। নাগমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। প্রস্তাবে রাজি নাগমা ও তার পরিবার। সেই আসরেই বিয়ের সানাই বাজে। বলতে গেলে সিনেমা কায়দায় বিয়ের আসরের হয় ‘হ্যাপি এন্ডিং’। সূত্র : এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।