Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্রুসেড বিজয়ী গাজী সালাহউদ্দীন আইউবী

কে. এস সিদ্দিকী | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

৪ মার্চ ক্রুসেড বিজয়ী সুলতান গাজী সালাহউদ্দিন আইউবীর ওফাত দিবস। কুর্দী বংশোদ্ভূত ইরাকের তিকরিতের একটি দুর্গে তিনি হিজরী ৫২৪ মোতাবেক ১১২৭ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা নাজমুদ্দীন আইউব এবং তাঁর চাচা আসাদ উদ্দীন শেরকূহ স্বদেশ হতে হিজরত করে ফার্ন উপাসাগরের নিকটবর্তী ‘দাভীন’ নামক নগরীতে চলে আসেন। তাঁর পিতা নাজমুদ্দীন আইউব সেখানকার মোজাহেদুদ্দীন বাহরোজ সেলজুকীর পক্ষ হতে শাসনকর্তা ছিলেন।
নাজমুদ্দীন ও আসাদ উদ্দীন মোসেলের আতাবেক ইমাদুদ্দীন জঙ্গীর দরবারে প্রবেশ করেন। হিজরী ৫৩৪ মোতাবেক ১১৩৯ সালে ইমাদুদ্দীন কর্তৃক বালাবাক শহর অধিকৃত হলে নাজমুদ্দীনকে উত্তরাধিকারী করে তথাকার শাসন কর্তা নিযুক্ত করেন।
সালাহউদ্দীন শৈশবের কয়েক বছর বালাবাকে অতিবাহিত করেন। এবং সমরবিদ্যা, জেহাদ, রাজনীতি এবং রাষ্ট্র পরিচালনা সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ লাভ করেন। হিজরী ৫৪৯ মোতাবেক ১১৫৪ সালে নূরুদ্দিন মাহমুদ যখন দামেশকে ক্ষমতাসীন হন, তখন আমীর নাজমুদ্দীন ও তার পুত্র সালাহউদ্দিন তাঁর দরবারে চাকরি গ্রহণ করেন। সালাহউদ্দিন এসময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিভা ও যোগ্যতার পরিচয় দেন এবং মালিকুল আদেলের দৃষ্টি তার প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং তাকে বিভিন্ন বিষয়ে ফরমায়েশ দিতে আরম্ভ করেন। সালাহউদ্দীন তার কাছে জেহাদ সম্পর্কে এবং উত্তম ও কল্যাণের বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন।
এটি ছিল ক্রুসেড যুদ্ধগুলোর প্রারম্ভকাল, সেগুলো ইসলামের বিরুদ্ধে শুরু করা হয়েছিল। জেহাদ সম্পর্কে নূরুদ্দীন মাহমুদের নিকট সালাহউদ্দিন গুরুত্বপূর্ণ বহু বিষয় শিক্ষা লাভ করেন এবং রণকৌশল ও যোগ্যতা অর্জন করেন। মিশরে ৫৫২-৫৬৪ হিঃ ১১৬৪-১১৬৮ সাল পর্যন্ত যে তিনটি অভিযান চলে সে সময় সালাহউদ্দীন তার চাচা শেরকূহের সান্নিধ্যে থেকে দুর্লভ সাময়িক অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। নূরুদ্দীন ও ক্রুসেডারদের মধ্যে মিশরের অধিকার নিয়ে যুদ্ধ হয়। ক্রুসেডারদের পরাজয়ের মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। এর ফলে শেরকূহ মিশরে ফাতেমী খেলাফতে মন্ত্রীর পদ লাভ করেন।
শেরকূহ মন্ত্রিত্ব লাভের দুই মাসের মধ্যে ৫৬৪ হিজরীর জমাদিউসসানি মাস মোতাবেক ১১৬৯ সালের মার্চ মাসে ইন্তেকাল করেন। অতঃপর ফাতেমী খলিফা আল আজেদ ক্ষমতাচ্যুত হন এবং সালাহউদ্দীন ক্ষমতাসীন হয়ে বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফার প্রতি স্বীকৃতিদান করেন। তাঁর প্রতি জনগণের আস্থা-ভক্তি ও তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। কেননা, ফাতেমী খলিফারা জনগণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছিলেন, যার ফলে তাদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছিল। যেমন বহুক্ষেত্রে করারোপ। সালাহউদ্দীন এসব প্রত্যাহার করে নেন। ফাতেমী প্রাসাদ প্রধান মোতাসেনকে অপসারণ করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ক্রুসেডারদের সাথে গোপন আঁতাত এবং সিরিয়ার সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে তাদের নিকট সাহায্য চাওয়া এ সময় থেকে আইউবী রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে।
সুলতান নূরুদ্দীন ও সালাহউদ্দিন মিশর ও সিরিয়ায় ক্ষমতাসীন, ক্রুসেডারগণ পরিস্থিতি দেখে দারুণভাবে বিচলিত হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় ক্রুসেড রাজ প্রথম আমুরী পশ্চিম ইউরোপের নিকট সাহায্যের জন্য দূত প্রেরণ করেন, যাতে ঐসব দেশের রাজন্যরা নতুনভাবে ক্রুসেড যুদ্ধ দ্রুত শুরু করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।
হিজরী ৫৬৫/১১৬০ সালের বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের ম্যানুয়েল কুমিনিনের সাথে ক্রুসেডারেরা একটি চুক্তি নবায়ন করে মিশরের বিরুদ্ধে। চুক্তি অনুযায়ী, বাইজেন্টাইনীরা তাদের একটি নৌবহরকে নৌ অভিযানের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে। এটি ভূমধ্যসাগর পথে দুমিয়াতের দিকে যাত্রা করে। এসময় ক্রুসেডাররা স্থলপথে আসকালান হয়ে ‘কারমা’ নামক স্থানে পৌঁছে এবং সেখান হতে দ্রুত দুমিয়াতের দিকে যাত্রা করে। খবর পেয়ে নূরুদ্দীন মাহমুদ একটি সুশিক্ষিত বাছাই করা বিশেষ সৈন্য বাহিনী সালাহউদ্দীনের সাহায্যের জন্য প্রেরণ করেন। অনুরূপভাবে নূরুদ্দীন সিরিয়ার ক্রুসেডারদের বাধা দেন, যাতে মিশরে তারা প্রভাব বিস্তার বা মিশরকে চাপের মুখে ফেলতে না পারে। শেষ পর্যন্ত বাইজেন্টাইনী ক্রুসেডারদের আগ্রাসী হামলা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় এবং ক্রুসেডার ও বাইজেন্টাইনীরা দুমিয়াতের অবরোধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে সালাহউদ্দীনের এটি ছিল বিরাট সাফল্য।
অতঃপর নূরুদ্দীন মাহমুদ গভীরভাবে চিন্তা করতে থাকেন মিশরে শিয়া ফাতেমী খেলাফতের অবসান ঘটিয়ে কিভাবে মিশরকে আব্বাসীয় খেলাফতের অধীনে আনা যায়। বিষয়টির প্রয়োজন সালাহউদ্দীনও অনুভব করেন। হিজরী ৫৬৭/১১৭১ সালে প্রথম জুমায় তিনি আব্বাসীয় খলিফার জন্য খোতবার দোআ করেন। এর কিছুদিনের মধ্যে সর্বশেষ ফাতেমী খলিফা আজেদ ইন্তেকাল করেন। উল্লেখ্য, নূরুদ্দীন মাহমুদই সিরিয়া-মিশর উভয়ের সুলতান, সালাহউদ্দীন তার অধীনে। এজন্য তার কিছুটা আশঙ্কা ছিল যে, নূরুদ্দীন তাকে অন্য কোনো প্রদেশের রাজ্যে স্থানান্তরিত করতে পারেন অথবা তার বিরুদ্ধে কোনো সামরিক অভিযানে প্রেরণ করতে পারেন। নূরুদ্দীনের প্রতি তার আনুগত্য প্রশ্নবোধক হয়ে উঠে। কিন্তু হিজরী ৫৬৯/১১৭৪ সালে নূরুদ্দীন মাহমুদের ওফাতের মধ্য দিয়ে ঐ আশঙ্কারও অবসান ঘটে।
নুরুদ্দীন মাহমুদ মৃত্যুকালে তার এগারো বছর বয়স্ক পুত্র সালেহ ইসমাঈলকে রেখে যান তাঁর উত্তরাধিকারী হিসেবে কিন্তু অচিরেই দেখা দেয় গৃহবিবাদ, ঝগড়া, ফেতনা অন্যান্য পুত্র ও ঘোষিত উত্তরাধিকারী সালেহ ইসমাঈলের মধ্যে। মুসলমনাদের মধ্যে দেখা দেয় আতঙ্ক-আশঙ্কা। সিরিয়ায় ক্রুসেডদের আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে, ইসলামী জিহাদ আন্দোলন ক্রুসেডারদের হামলার মুখে পতিত হওয়ার আশঙ্কা স্পষ্ট হয়ে ওঠে এ গৃহ বিবাদের কারণে।
সালাহউদ্দীন মিশর হতে সিরিয়া গমন করেন। উদ্দেশ্য সালেহ ইসমাঈলকে তার পিতার উত্তরাধিকারীর কথা ঘোষণা করা। তিনি দামেশক শহরে পৌঁছেন এবং জঙ্গী ঘরানার বণিক সদস্যদের সাথে কথা বলেন, কিন্তু বিরোধ মিটেনি। হিজরী ৫৭০/১১৭৫ সালে কোরেন হামাচ নামক স্থানে জঙ্গীদের সাথে সালাহউদ্দীনের সংঘর্ষ বাধে এবং তাদের তিনি পরাজিত করেন। অতঃপর সালাহউদ্দীন হলব শহরে প্রবেশ করেন, সালেহ ইসমাঈলকে ক্ষমতাচ্যূত করেন এবং নিজেকে মিসর ও সিরিয়ার বাদশাহ ঘোষণা করেন এবং হিজরী ৫৭১/১১৭১ সালে হলব ও হামাতের মধ্যবর্তী স্থান তাল্লুম মুলতান নামক স্থানে জঙ্গীদের দ্বিতীয় বার পরাজিত করেন এবং মোসেল শহর পর্যন্ত তার ক্ষমতা সম্প্রসারিত করেন। এর ফলে সালাহউ্দ্দীন স্বীয় কর্তৃত্বে ইসলামী ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হন। অতঃপর বাগদাদের খলিফা মিসর ও সিরিয়ার বেলায়েত বা শাসনের প্রতীক প্রেরণ করেন এবং এভাবে শুরু হয় তার আইউবী রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রা।
সালাহউদ্দীন একজন মুসলিম বীর হিসেবে লালিত হন জেহাদ যুগে এবং প্রশিক্ষা শিক্ষা লাভ করেন ব্যাপকভাবে নুরুদ্দীন মাহমুদের নিকট। তিনি জীবনের কয়েক বছর সিরিয়া হতে ক্রুসেডারদের অস্তিত্ব নির্মূল করার জন্য প্রচেষ্টায় ত্রুটি করেননি। বায়তুল মোকাদ্দাস বিপজ্জনক ক্রুসেড রাষ্ট্রে পরিণত হয়। সালাহউদ্দীন নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সে সময়ের জন্য প্রস্তুত করতে পারেননি। বায়তুল মোকাদ্দাস রাষ্ট্র অর্থাৎ জেরুজালেম জয়লুজ জানানের শাসনাধীন দুর্বল হয়ে পড়ে। সত্যিকারের রাজা হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনার দাবিদার হয়েও দুর্বলতার কারণে তাতে তিনি সরাসরি সক্ষম নয়। ক্রুসেডারদের আমির বা শাসকের নাম আরনাথ (রিনাদি শায়তুর)। তিনি কার্কের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত মৃতসাগরের দিকের শাসক। তিনি মুসলমানদের দীর্ঘদিন কঠোর অবরোধ করে রাখার পর কার্কদূর্গের দিক থেকে অব্যাহত আক্রমণ চালাতে থাকেন  সাগরে। এটি ছিল সালাহউদ্দীনের নেতৃত্বে মুসলমানদের পক্ষে ক্রুসেড বিরোধী ভয়ঙ্কর মোকাবেলা যা লোহিত সাগরে ইসলামী সার্বভৌত্বের প্রতি মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। ইসলামী ইতিহাসে এ লোহিত সাগরের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা এটি ছিল হেজাজের শহরগুলোর যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম, যেখানে মক্কা মোকারমা ও মদীনা মোনাওয়ারায় হারামাইন শরীফাইন অবস্থিত। মুসলমানগণ এ সাগরকে ইসলামী সাগর মনে করেন এবং তারা একান্তভাবে আগ্রহী যে, এ সাগর দিয়ে জেলে যাতায়াত করতে পারবে না, কোনো ভারতীয় বা চীনা কিংবা ইতালীয় বা অন্য কোনো নৌযান চলাচল করতে পারবে না, যার সীমান্ত রয়েছে এডেন এবং এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণে। এ লোহিত সাগরের অর্থনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি হারামাইন শরীফাইনের নিরাত্তার বিষয়টি ছিল তাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

ক্রুসেডার আরনাথের ইসলামবিরোধী পরিকল্পনা
হিজরী ৫৭৮/১১৮২ সালে ক্রুসেডার আরনাথ লোহিত সাগরে ইসলামী সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে এক ভয়ানক পরিকল্পনা গ্রহণ করে যা বাস্তবায়িত হলে এ সাগরের ক্রুসেডারদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার সম্ভব হবে। সে ইসলামের তিরস্কার করে। (নাইজুবিল্লাহ)। সে হারামইন শরীফাইনের অভ্যুন্তরে আক্রমণ চালাতেও মনস্থ করে। তাছাড়া সালাহউদ্দীনের নেতৃত্বে পূর্বের আলমে ইসলামীর সকল সদস্যদেশ একই কাতারে সারিবদ্ধ হয়েছে, আরনাথ তাদের মধ্যে ভাঙ্গন ধরাতে চায়, তার পরিকল্পনা সমগ্র মুসলমান বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত করা। কেননা তাদের ঘরে ঘরে রয়েছে ক্রুসেডবিরোধীরা। বিশেষভাবে আরনাথ ইলার (আকাবা উপসাগরে) কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার পরে বহু নৌযান নির্মাণ করে সেগুলো বিক্ষিপ্ত খ- খ- আকারে উটের পীঠে পাঠায় এবং সেগুলো আকাবা উপসাগরে পৌঁছে যায় এবং সাগরে নামানো হয়।
এসব নৌযান লোহিত সাগরে অবস্থিত বন্দরগুলোতে আক্রমণ চালায়। সাগরের অধিবাসীরা ইতিপূর্বে এরূপ নৌযান কখনো দেখেনি বিধায় তাদের মধ্যে মারাত্মক ভয়-ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এসম্পর্কে ইবনুল আসীরের ভাষ্য:
“ইন্নাছ ছালিবীয়্যি না বাগাতোন নাসা ফি বিলাছিহিম আলা হীনে গাফলাতিন মিনহুম, ফাইন্নাহুম লাম ইয়াহাদু বি হাজালবাহরি ফাবাঞ্জিযান কাত্তু, তাজেরান, ওয়ালা মোহারেবানা। অনুবাদ: ক্রুসেডারগণ আকস্মিকভাবে লোকদের ওপর তাদের দেশে অসর্তক অবস্থায় আক্রমণ চালায়। সালাহউদ্দীন বুঝতে পারলেন যে, আরনাথের দীর্ঘ আগ্রাসীনীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তার নৌবহর ইজাব সমুদ্রবন্দর হতে জেদ্দা সমুদ্রবন্দরে পৌঁছে গেছে এবং সেখানে লুটপাট করেছে ক্রুসেডারেরা। ঐতিহাসিক আহমদ ইবনে আলী আল মোকরেজির মতে, তারা লোহিত সাগরে প্রায় ১৬টি নৌযান জ্বালিয়ে দেয়। জেদ্দা হতে হাজীদের বহন করে আনা একটি নৌযান তারা আটক করে এবং কূহ ও ইজাবের মধ্যবর্তী স্থানে হাজীদের এ বিরাট বন্দি কাফেলার সকলকে হত্যা করে। এছাড়া ইয়েমেন থেকে আসা দ্রব্যসামগ্রীভর্তি দুইটি নৌযান তারা আটক করে এবং হারামাইনে পৌঁছানোর জন্য মাছ শিকারীদের বিপুল খাবার ভর্তি নৌযানও তারা আটক করে। এ ক্রুসেডারেরা এমন সব লোমহর্ষক ঘটনা ঘটায় ইসলামের ইতিহাসের যার দৃষ্টান্ত নেই এবং ইতিপূর্বে কোনো রোমাবাসীও সে স্থানে পৌঁছেনি।
(চলবে)



 

Show all comments
  • ইয়াহইয়া ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৭:৪১ পিএম says : 0
    সালাউদ্দিন আইউবী এমন একটি নাম যা এখনও ক্রুসেডাররা শুনলে ভয়ে কম্পমান হয়ে থাকে। বায়তুল মুকাদ্দাস দখলের জন্য আরেক আইউবীর দরকার।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রুসেড বিজয়ী গাজী সালাহউদ্দীন আইউবী
আরও পড়ুন