পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ডলারের দাম বাড়ার পেছনে কারসাজি থাকার কথা বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তবে কারা এর সঙ্গে জড়িত তা স্পষ্ট করেননি তিনি। আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনে রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার ছাড়ার কথা বলেছেন এই সিনিয়র মন্ত্রী।
তোফায়েল আহমেদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “মে মাসে রোজা শুরু হয়ে যাবে। আমার মনে হয় এটা (ডলারের দাম বৃদ্ধি) একটা কারসাজি। হঠাৎ ডলারের মূল্য.....।”
এই বছরের শুরু থেকে ডলারের দাম বাড়ছে। কয়েক মাসের ব্যবধানে তা তিন থেকে চার টাকা বেড়ে ৮৫ টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে। আগের বছরের তুলনায় এবার এপ্রিলে ডলারের দর প্রায় ২ শতাংশ বেশি।
ডলারের দামের এই বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি আমদানি বেড়ে যাওয়াকে কারণ হিসেবে দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রমজানের আগে ডলারের দাম বৃদ্ধিতে আমদানি করা পণ্য বিশেষ করে খেজুর, তেল, ডালের মূল্য বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডলারের দর কমাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে তোফায়েল আশা প্রকাশ করেছেন, দর আবার ৮০ টাকার নিচে নামবে।
“ডলারের দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করেছি। যে কারণে বেড়েছে, সেটাকে সমাধান করার পদক্ষেপ নিয়েছি।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে গত দুই দিনে দুইবার কথা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি (গভর্নর) পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরই মধ্যে ডলারের দাম ৮৪ টাকা থেকে কমে ৮২ টাকা হয়েছে।
“বাংলাদেশ ব্যাংক অন্য ব্যাংকগুলোকে ডলার দিচ্ছে, যার কারণে দাম কমে যাচ্ছে। আশা করি, আরও কমবে। রিজার্ভ আমাদের ৩২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সেখানে আমরা যদি ২০০ মিলিয়ন ডলার বা ৪০০-৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যাংকে দিয়ে দেই, তাতে আমাদের কোনো ক্ষতি নেই।”
রোজায় ভোজ্যতেলসহ আমদানি করা পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ডলারের দাম কমানোর পক্ষপাতি বাণিজ্যমন্ত্রী। রোজায় পণ্যমূল্য যেন স্বাভাবিক থাকে, সেজন্য ৩০ এপ্রিল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি।
আগের রোজার মাসগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যেমন ছিল, এবারও তেমন থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তোফায়েল।
গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ত্রান ভান খোয়া। সাক্ষাৎ শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে ডলার ও ভিয়েতনামের সঙ্গে বাণিজ্য প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ অর্থনৈতিক কাউন্সিল আছে। ২০১৫ সালে কাউন্সিলের সর্বশেষ সভা হয়েছে। এই কাউন্সিলের আগামী সভা করতে আমার সম্মতি নিতে এসেছিলেন তিনি। চলতি বছরেই এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে সভার তারিখ দুই দেশ পরবর্তীতে আলোচনা করে নির্ধারণ করবে।’
সভায় কী বিষয়ে আলোচনা হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। ভিয়েতনামে আমরা ওষুধ রফতানি করি। তাই সেখানে ওষুধ রফতানিতে আমরা ডিউটি ফ্রি সুবিধা চাইবো।’
শফীর সঙ্গে হাসিনার আলোচনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কওমি মাদ্রাসাগুলোর পরিচালকদের নেতা শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে বৈঠক করায় এতে আওয়ামী লীগের আদর্শচ্যুতির কোনো কারণ দেখছেন না দলটির প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ। হেফাজতে ইসলামের আমির শফীর সঙ্গে বৈঠকে কওমির সনদের স্বীকৃতি এবং সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য অপসারণের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দেয়ার পর অব্যাহত সমালোচনার মধ্যে গতকাল সচিবালয়ে তোফায়েল এই ব্যাখ্যা দেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “যিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তিনি সকলের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী না, তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। যে কোনো দল প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করতে চায়, করতে পারে। তারা একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে, মাদ্রাসা শিক্ষা বা কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে।”
“এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য দিয়েছেন যে, ১৫ লাখ ছাত্র-ছাত্রীকে মর্যাদা দেয়া, তাদের একটা পদ্ধতিতে নিয়ে আসার জন্য তিনি আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন।”
গণজাগরণবিরোধী হেফাজত আমিরের সঙ্গে বৈঠক করে কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি এবং ভাস্কর্য অপসারণের ঘোষণা দেয়া আওয়ামী লীগের আদর্শচ্যুতির লক্ষণ হিসেবে দেখছে তাদের জোটসঙ্গী দল জাসদও।
বঙ্গবন্ধুর ছায়ায় রাজনীতি করে এসে নানা পদ পেরিয়ে এখন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা তোফায়েল বলেন, “মনে রাখবেন, আওয়ামী লীগ একটা অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক দল। এটাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নীতি। চারটি রাষ্ট্রীয় মূলনীতি, ৭২’র সংবিধান, তার পথ ধরেই আওয়ামী লীগ এগিয়ে চলেছে।”
“সুতরাং অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক দলের পথ থেকে আওয়ামী লীগ কখনোই বিচ্যুত হবে না। এ ব্যাপারে আর কোনো কথা বলার প্রয়োজন নেই।”
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “বিএনপি আগামী নির্বাচন করবে, এতে কোনো সন্দেহ নাই। যেগুলো বলে, তা রাজনৈতিক কারণে বলে।”
দশম সংসদ নির্বাচন বয়কটকারী বিএনপি আগামী নির্বাচনও নির্দলীয় সরকারের অধীনে করার দাবি জানিয়ে আসছে।
টানা দ্বিতীয়বার সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে তোফায়েল বলেন, “আমাদের বড় দল। আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে কথাবার্তা হয়। সব সময় একটা জায়গায় প্রতিযোগিতা হয়। ফলে কিছু ভুলত্রæটি হয়।”
সেই সব ভুলত্রæটি কাটিয়ে দলীয়ভাবে নির্বাচনের প্রস্তুুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।