পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বন্যায় হাওর অঞ্চলে ৬ লাখ মেট্রিক টন ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। গতকাল বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে খাদ্য, পোল্ট্রি ও কৃষিপণ্য প্রদর্শনী বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বন্যায় হাওর অঞ্চলে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান নষ্ট হলেও তাতে সরকারের মজুদে কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, বছরে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়। বছরে খাদ্য চাহিদা রয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ মেট্রিক টনের কাছাকাছি। হাওর অঞ্চলের বন্যাদুর্গতদের জন্য ইতোমধ্যেই ওএমএস চালুসহ সরকার বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে। বর্তমানে সরকরের খাদ্য মজুদও যথেষ্ট সন্তোষজনক। কামরুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৮ সালে যখন দেশ কঠিন বন্যার কবলে পড়েছিল তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সেই বন্যা সফলভাবে মোকাবিলা করেছিল। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ অ্যাগ্রোফুড সেক্টরসহ প্রতিটি সেক্টরে উন্নতি অর্জন করেছে। অ্যাগ্রোফুড আজ বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। প্রাণ, স্কয়ারসহ যেসব কোম্পানি এ ধরনের পণ্য উৎপাদন করে তাদের বিদেশের বাজার ধরে রাখতে হবে। এ জন্য এ সেক্টরকে আরো উন্নয়ন ঘটাতে হবে। মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। এই সাংবিধানিক অধিকার প্রদান করার ব্যাপারে অতীতে কোনো সরকারই চেষ্টা করেনি। এই অধিকার আমরা দিতে চাই। এখন আমরা জনগণ এবং ব্যবসায়ীদের সচেতন করছি। সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করছি। যেসব বড় বড় কোম্পানি খাদ্য উৎপাদন করে তাদের আরো স্বচ্ছ ও সচেতন হতে হবে। যেন তাদের উৎপাদিত খাদ্য নিরাপদ হয়। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছেন। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এক সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। বর্তমানে আমরা তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নের্তত্বে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সময় সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, আরডি-এর মহাপরিচালক এম এ মতিনসহ ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা ও সাধারণ ভোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।