নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ২০১৫ বিশ্বকাপের পর মুমিনুলের শরীর থেকে রঙ্গীন জার্সি নামিয়ে ফেলেছে বিসিবি। তার শরীরে এখন শুধুই টেস্ট ক্রিকেটারের স্টিকার। এটা যে তার প্রতি বড়ই অবিচার, প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের চলমান আসরে তা জানিয়ে দিচ্ছেন মুমিনুল। চার বছর আগে চতুর্থ উইকেট জুটিতে রোশন সিলভার সাথে ২৭৬ রানের পার্টনারশিপের ম্যাচে ১২৯ রানের ইনিংসটাই এতদিন ছিল লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে মুমিনুলের সেরা ইনিংস। গতকাল বিকেএসপি ‘থ্রি’ তে ছাপিয়ে গেছেন সেই ইনিংস। ব্যাটে তুলেছেন কালবৈশাখী ঝড়। ১৬ চার, ৬ ছক্কায় ১২০ বলে ১৫২ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস দিয়েছেন উপহার! তার এই ঝড়ো ব্যাটিং এবং নাসিরের অল রাউন্ড পারফরমেন্সে (৬৪ রান ও ৩/৪০) গতকাল বড় বাধা পেরিয়েছে বিগ বাজেটের দল গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্স। ৩০৭/১০ স্কোর পুঁজি নিয়ে বর্তমানের রানার্স আপ প্রাইম দোলেশ্বরকে ৩৫ রানে হারিয়ে দিয়েছে গাজী গ্রæপ।
লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে স্ট্রাইক রেট যার ৮০.০০, সেই মুমিনুলকে গতকাল দেখা গেল অন্য বৈশিষ্ট্যে। ৫৪ বলে ফিফটি, লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি সেখানে উদযাপন করেছেন ৮৯ বলে। দ্বিতীয় ফিফটিতে খেলেছেন এই টপ অর্ডার ৩৫ বল। তৃতীয় ফিফটি নিয়েছেন আরো দ্রæতগতিতে, ২৮ বলে তৃতীয় ফিফটিতে মেরেছেন চারটি ছয়ের পাশে তিনটি চার! স্কোরশিটে ৯ উঠতে ২ ইনফর্ম ওপেনারকে হারিয়ে গাজী গ্রæপ যখন পড়েছে শঙ্কায়, তখন ধীরেসুস্থে ইনিংস তৈরিতে করেছেন আত্মনিয়োগ মুমিনুল। প্রথম রানের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে ১১টি বল। দ্বাদশ বলের মোকাবেলায় সিঙ্গল নিয়ে আবার সংযম, টানা ছয় বল ডট। নবম ওভারে দেলোয়ারকে পর পর দু’টি বাউন্ডারি মেরে বিকেএসপির সাবেক এই ক্যাডেটের ঝড়ো ব্যাটিং শুরু। প্রাইম দোলেশ্বরের আফগান রিক্রুট সামিউল্লাহ সেনওয়ারীকে এক ওভারে মেরেছেন তিনটি চার। শরীফুল্লাকেও শাসন করেছেন একই কায়দায়। ৭২ রানের মাথায় এনামুল টু’র বলে শর্ট মিড উইকেটে মজিদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া মুমিনুল এই এই অফ স্পিনারের উপর একটু বেশিই চড়াও হয়েছেন। ছয়টি ছক্কার তিনটি মেরেছেন তিনি এনামুল টু কে। ৪১তম ওভারে এনামুল হক (২) কে মিড উইকেটের উপর দিয়ে এবং স্ট্রেইট ছক্কায় ইনিংসটাকে ২০০ তে উন্নীত করার সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন। হাতে যখন ৫২টি বল,তখন থেমেছেন ১৫২ তে। ক্লান্তি দিয়েছে থামিয়ে তাকে। ফরহাদ রেজাকে হুক করতে যেয়ে ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ড্রেসিং রুমে। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে চামারা কাপুগেদারা ( ১৬১), রবি বোপারা (১৫৭)ও তামীম ইকবালের (১৫৭) পর চতুর্থ সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক এখন মুমিনুল। মুমিনুলের ফিরে আসায় স্কোর সাড়ে ৩০০ তে উন্নীত করতে পারেনি গাজী গ্রæপ। পারেনি ৫০ ওভার পার করতে। শেষ পাওয়ার প্লেতে ৬১ রানে হারিয়েছে তারা সাত উইকেট।
তারপরও তৃতীয় উইকেট জুটিতে নাসিরকে নিয়ে ১৫৩, চতুর্থ উইকেট জুটিতে পারভেজ রসুলকে নিয়ে ১০১ রানের পার্টনারশিপে নেতৃত্ব দেয়া মুমিনুলই গড়েছেন দু’দলের মধ্যে ব্যবধান। ৩০৮ এর চ্যালেঞ্জে আফগান সামিউল্লাহ সেনওয়ারীর ৫৫ এবং লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক ইনিংসে জাকের আলীর ফিফটিতে (৫২) প্রাইম দোলেশ্বর থেমেছে ২৭২/৯ এ। গাজী গ্রæপের এটি টানা চতুর্থ জয়, অন্যদিকে প্রাইম দোলেশ্বরের দ্বিতীয় হার।
প্রাইম দোলেশ্বর-গাজী গ্রæপ
গাজী গ্রæপ : ৩০৭/১০ (৪৮.২ ওভার), এনামুল বিজয় ৩, জহুরুল অমি ২, মুমিনুল ১৫২, নাসির ৬৪, পারভেজ রসুল ৫৩, দেলোয়ার ৩/৩৯, ফরহাদ রেজা ৪/৪১, এনামুল হক (২) ১/৬৮, আরাফাত সানি ১/৬৪। প্রাইম দোলেশ্বর : ২৭২/৯ (৫০.০ ওভার), ইমতিয়াজ তান্না ৪২, আবদুল মজিদ ০, শাহরিয়ার নাফিস ৩৬, মার্শাল আইয়ুব ১০, সামিউল্লাহ শেনওয়ারী ৫৫, জাকের ৫২, এনামুল (২) ৩০, আরাফাত সানি ২৯*, শফিউল ২/৫১, নাসির ৩/৪০, আবু হায়দার রনি ১/৩৯, পারভেজ রসুল ১/৫০, সোহরাওয়ার্দি শুভ ১/৪১।
ফল : গাজী গ্রæপ ৩৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মুমিনুল (গাজী গ্রæপ)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।