পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন হাওরে মাছের মড়ক রোধ বিষয়ে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় রাজুর বাজার জেলা মৎস্য দফতরের হলরুমে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা মৎস্য দফতর এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: আশরাফ উদ্দিন আহম্মদ জানান, অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হাওরাঞ্চলের কাঁচা-আধা পাকা ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ধান পচে পানি দূষিত হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় মাছে মড়ক দেখা দিয়েছে। জেলার ডিঙ্গাপোতা হাওর, গণেশের হাওর, তলার হাওর, জালিয়ার হাওর, চৌতারা হাওরসহ ছোট-বড় ৪২টি হাওরে মাছের মড়কে নষ্ট হয়ে গেছে ১ হাজার ১শ’ ৮০.৮৫ মেট্রিক টন মাছ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৫২৮ জন জেলে। তিনি আরো জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জেলার খালিয়াজুরী, মোহনগঞ্জ, মদন ও বারহাট্টা উপজেলায় সরকারি হিসাব মতে, মৎস্য খাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ২৪ কোটি টাকা।
মতবিনিময় সভায় আরো জানানো হয়, জেলা মৎস্য দফতর ইতোমধ্যে হাওর এলাকায় ৭ দিন মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে। সেই সাথে চুন ও অক্সি-ফ্লো/অক্সি-এ/অক্সিমেক্স জলাশয়ে প্রয়োগ করা হয়েছে। সেই সাথে অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে পানির দূষণ কমে ক্রমেই স্বাভাবিক হয়ে আসছে। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারজানা হোসেন ও মোহনগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।