পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণকে সাথে নিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে হবে। সেই লড়াইয়ে বিজয় আমাদের হবেই।
গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (সাগর-রুনি) মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকাস্থ সিরাজগঞ্জ জেলার সাবেক ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ এ সভার আয়োজন করে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র ব্যতীত অন্যে কোনা নীতিতে বিশ্বাস করে না বলেই ২০০৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। একটি অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক সরকারের চেয়ে নির্বাচিত সরকার ভালো। পক্ষান্তরে বর্তমান শাসকদল আওয়ামী লীগের এখন অপকৌশল নির্বাচনে নিজেদের পছন্দের ফলাফল নিয়ে আসার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কারণ, শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ যা যা করার প্রয়োজন, আওয়ামী লীগ সেই অগণতান্ত্রিক কাজ আরো করে যাবে।
নির্বাচন দিতে আওয়ামী লীগ ভয় পায় মন্তব্য করে সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, এই সরকারের বিদায় চায়। শুধু তাই নয়, তারা (জনগণ) আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প হিসেবে বিএনপিকে মনে করছে। তাই ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন দিতে চায় না। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তারা ভালো করেই জানে, অতীতে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে রক্ষিবাহিনী দিয়ে অত্যাচার নির্যাতন করায় ক্ষমতায় যেতে তাদের ২১ বছর লেগেছে। এবার জনগণের উপর ছেড়ে দেয়া হলে আবার কখন কবে ক্ষমতায় যাবে তার হিসাব নেই।
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, লুটপাট ও দুর্নীতির সংস্কৃতি অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই সরকারকে তার জুলুম-নির্যাতনের শেষ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে বলে আওয়ামী লীগ নেতা ও এমপি-মন্ত্রীদের ‘সুখকর স্বপ্নে’ থাকার কোনো কারণ নেই। কারণ হাসিনার গণতন্ত্র হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দুর্নীতির সুযোগ করে দেয়া। তা ছাড়া গণতন্ত্রের জন্য তিনি এমন কি করেছেন কিংবা করে যাচ্ছেন যে, জনগণ না চাইলেও জনবিচ্ছিন্ন সরকারের প্রধান উনার (হাসিনা) অধীনে বিএনপিকে নির্বাচনে যেতেই হবে।
তিনি বলেন, দেশে যখন বিপজ্জনক সরকার চেপে বসে, তখন কারো জীবনের নিরাপত্তা থাকে না। যে কেউ যে কোনো সময় গুম, খুন, গ্রেফতার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকে। ঠিক তেমনি দেশে এখন কোনো আন্দোলন কর্মসূচি নেই। অথচ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ মনে করে বর্তমান শাসকদল নির্যাতন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। একটি কথা খুবেই স্পষ্টÑ বিএনপি যদি প্রতিবাদ নাও করে, তবু এই সরকারকে তার জুলুম-নির্যাতনের শেষ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন, তিনি ভারতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন। অন্যদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, চুক্তি করা হয়েছে। এর আসল রহস্য কী? জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছেÑ তাহলে কি প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের নিরাপত্তা ভারতের কাছে জিম্মি করে দিলেন? বিনিময়ে ভারত ইউরেনিয়ামযুক্ত বর্জ্য পানি ছেড়ে দিয়েছে। যার ফলে হাওরাঞ্চলে মৎস ও প্রাণীরা পর্যন্ত মারা যাচ্ছে।
বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্যে রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।